পরীক্ষার কারণে পেছাল তরিকুলের রিমান্ড শুনানি
সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় শাহবাগে নাশকতার মামলায় গ্রেপ্তার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র তরিকুল ইসলামের রিমান্ড শুনানি পরীক্ষার কারণে পিছিয়েছেন আদালত।
আজ মঙ্গলবার ঢাকার মহানগর হাকিম আব্দুল্লাহ আল মাসুদের আদালতে তরিকুলকে রিমান্ড শুনানি উপলক্ষে হাজির করা হলে বিচারক আগামী ১৭ জুলাই রিমান্ড শুনানির দিন নির্ধারণ করেন।
আদালতের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা (জিআরও) মাহমুদুর রহমান এনটিভি অনলাইনকে জানান, গত ৪ জুলাই ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিমের আদালতে আসামি তরিকুল ইসলামকে হাজির করে সাতদিন রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা। ওই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারক আজ রিমান্ড শুনানির জন্য দিন নির্ধারণ করেন।
মাহমুদুর রহমান জানান, আজ তরিকুর ইসলামকে রিমান্ড শুনানি উপলক্ষে হাজির করা হলে তাঁর আইনজীবী ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া রিমান্ড শুনানি পেছানোর জন্য আবেদন করেন। ওই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারক রিমান্ড শুনানির তারিখ পিছিয়ে ১৭ জুলাই নির্ধারণ করেন।
ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘তরিকুল ইসলাম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আইন বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র। তাঁর পরীক্ষা থাকার কারণে রিমান্ড শুনানি পেছানোর আবেদন করা হয়। আদালত ওই রিমান্ড শুনানির তারিখ পেছান। তরিকুল ইসলামের বাড়ি কুমিল্লা জেলার মুরাদনগর উপজেলায়।
এদিকে আজ বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক ফারুক হোসেন, মশিউর রহমান ও জসিম উদ্দিন আকাশসহ তিনজনকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের (ভিসি) বাড়িতে ভাঙচুর ও শাহবাগ থানায় নাশকতার মামলায় রিমান্ডে পাঠানো হয়।
ফারুকসহ অন্য আসামিদের গত ৩ জুলাই রাজধানীর বিভিন্ন স্থান থেকে আটক করার দাবি করে পুলিশ।
নথি থেকে জানা যায়, গত ৮ এপ্রিল কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় শাহবাগে পুলিশকে মারধর, কর্তব্য কাজে বাধা, পুলিশের ওয়াকিটকি ছিনতাই ও উপাচার্যের বাড়ি ভাঙচুরের ঘটনার অভিযোগে শাহবাগ থানায় চারটি মামলা করা হয়।
এর মধ্যে উপাচার্যের বাড়ি ভাঙচুর ও পুলিশের কাজে বাধার দুই মামলায় পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁরা হলেন, রাকিবুল হাসান, আলী হোসেন শেখ, মাসুদ আলম, আবু সাঈদ ফজলে রাব্বি ও মশিউর রহমান।
অন্যদিকে গত ৮ জুলাই তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) আইনের মামলা ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বাসভবনে ভাঙচুরের মামলায় কোটা সংস্কার আন্দোলনের যুগ্ম আহ্বায়ক মুহাম্মদ রাশেদ খানকে ১০ দিনের রিমান্ড দিয়েছেন আদালত।
গত ১ জুলাই শাহবাগ থানায় আন্দোলনকারীদের সংগঠন বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক মুহাম্মদ রাশেদ খানের বিরুদ্ধে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনে মামলা করেন কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের আইনবিষয়ক সম্পাদক আল নাহিয়ান খান জয়। ওই দিনই রাজধানীর মিরপুর ১৪ নম্বর সেকশনের ভাষানটেক বাজারের মজুমদার মোড়ের ১২ নম্বর বাসা থেকে রাশেদকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।