নারায়ণগঞ্জে স্বর্ণ ব্যবসায়ী হত্যায় বাল্যবন্ধু জড়িত!
নারায়ণগঞ্জের স্বর্ণ ব্যবসায়ী প্রবীর চন্দ্র ঘোষ হত্যায় তাঁর বাল্যবন্ধু পিন্টু দেবনাথ ও আরেক ব্যবসায়িক অংশীদার বাপন ভৌমিক সরাসরি জড়িত বলে জানিয়েছে পুলিশ।
আজ মঙ্গলবার নিজ কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার মঈনুল হক এ তথ্য জানান।
এই দুজনের ১০ দিনের রিমান্ডের জন্য আদালতে আবেদন করা হবে বলে পুলিশ সুপার জানিয়েছেন। তিনি জানান, বাপন ভৌমিকের কাছ থেকেই গতকাল নিহতের মোবাইল ফোনটি তাঁরা উদ্ধার করেন। এরপর মোবাইল ফোন দিয়ে হত্যাকারীদের শনাক্ত করে গোয়েন্দা পুলিশ। পরে রাতে জিজ্ঞাসাবাদের সময় লাশ কোথায় আছে জানালে, তাঁদের দেওয়া তথ্যমতেই অভিযান চালায় পুলিশ। নগরীর আমলাপাড়ার একটি বাড়ির সেপটিক ট্যাংক থেকে বেরিয়ে আসে প্রবীর চন্দ্র ঘোষের তিন টুকরা করা লাশ।
নারায়ণগঞ্জের স্বর্ণ ব্যবসায়ী প্রবীর চন্দ্র ঘোষের (ইনসেটে) মৃতদেহ পাওয়ার পর স্বজনদের আহাজারি। ছবি : ফোকাস বাংলা
সংবাদ সম্মেলনে মঈনুল হক বলেন, ‘এই যে অপহৃত, নিখোঁজ স্বর্ণ ব্যবসায়ী প্রবীর চন্দ্র ঘোষ, তাঁরই খুব ঘনিষ্ঠ বন্ধু পিন্টু দেবনাথ ও বাপন ভৌমিক। এদের জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে পিন্টু দেবনাথ নিখোঁজ ব্যক্তির সন্ধান বলে এবং তাঁর মৃতদেহ কোথায় আছে জানালে পরে, আমরা সাথে সাথেই উদ্ধার অভিযান চালাই। আপনারা জানেন যে, আমলাপাড়ার একটি বাড়ির একটি সেপটিক ট্যাংক থেকে খণ্ড বিখণ্ড লাশ উদ্ধার করা হয়।’
পুলিশ সুপার বলেন, ‘পারিবারিকভাবে ছোটবেলা থেকেই এরা একসাথে চলাফেরা করত এবং ব্যবসাতেও এদের সংশ্লিষ্টতা ছিল। আমরা যেটা ধারণা করছি, এটা আমরা নিশ্চিত নই, ব্যবসায়িক লেনদেনের কোনো বিষয় এখানে থেকে থাকতে পারে। তদন্তের এই পর্যায়ে দুই ব্যক্তির সংশ্লিষ্টতা আমরা পেয়েছি এবং তাদের কাছ থেকে নিহতের মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়েছে। তাদের দেখানো মতেই এই লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।’
সংবাদ সম্মেলনে নারায়ণগঞ্জের পুলিশ সুপার মঈনুল হক। ছবি : এনটিভি
এ ছাড়া লাশ খুঁজে পাওয়ার আগে, নিখোঁজের সুযোগ নিয়ে ভিন্ন একটি প্রতারক চক্র তাঁর পরিবারের কাছ থেকে বিকাশের মাধ্যমে দেড় লাখ টাকা মুক্তিপণ নেয়।
তবে সেই টাকা এখনো তুলে নিতে পারেনি বলে পুলিশ সুপার জানান। এ ছাড়া হত্যার রহস্য আরো পরিষ্কার করার জন্য তদন্তের অপেক্ষা করতে হবে বলে তিনি জানান।