রাণী সরকারের জানাজা এফডিসিতে, দাফন আজিমপুরে
অভিনেত্রী রাণী সরকার আর নেই ।(ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। আজ শনিবার ভোর ৪টায় রাজধানীর মতিঝিলের একটি হাসপাতালে বার্ধক্যজনিত কারণে রাণী সরকারের মৃত্যু হয়। গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় তাঁর শরীর হঠাৎ খারাপ হলে তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। আজ ভোর ৪টায় চিকিৎসক তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
আজ শনিবার দুপুর ২টায় এফডিসিতে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে প্রবীণ অভিনেত্রী রাণী সরকারের। সেখানে তাঁর দীর্ঘদিনের সহকর্মীরা ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানাবেন তাঁকে।
বাদ আসর রাজধানীর আজিমপুর কবরস্থানে রাণী সরকারকে দাফন করা হবে বলে এনটিভি অনলাইনকে জানিয়েছেন শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খান।
জায়েদ খান বলেন, ‘এফডিসিতে রাণী সরকারের মরদেহ আনা হবে বেলা ১টার পর। দুপুর ২টায় এফডিসিতে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। আমরা যাঁরা দীর্ঘদিন ধরে উনার সাথে কাজ করেছিলাম তাঁরা সবাই ফুল দিয়ে শেষ শ্রদ্ধা জানাব তাঁকে। বাদ আসর আজিমপুর কবরস্থানে তাঁকে দাফন করা হবে।’
রাণী সরকার বাংলা চলচ্চিত্রে অভিনয় শুরু করেন ষাটের দশকে। বাংলা চলচ্চিত্রে অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ ২০১৬ সালে তাঁকে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের আজীবন সম্মাননা পুরস্কার প্রদান করে বাংলাদেশ সরকার।
রাণী সরকার বাংলাদেশের খুলনা বিভাগের সাতক্ষীরা জেলার কালীগঞ্জ থানার সোনাতলা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর বাবার নাম সোলেমান মোল্লা এবং মায়ের নাম আছিয়া খাতুন। তিনি সাতক্ষীরার সোনাতলা গ্রামের ইউপি স্কুল থেকে প্রাথমিক পাঠক্রম শেষ করেন। এরপর তিনি খুলনা করোনেশন গার্লস স্কুল থেকে মেট্রিক পাস করেন।
রাণী সরকারের অভিনয় জীবন শুরু করেন ১৯৫৮ সালে বঙ্গের বর্গী মঞ্চনাটকের মাধ্যমে। একই বছরই তাঁর চলচ্চিত্রে অভিষেক হয় এ জে কারদার পরিচালিত ‘দূর হ্যায় সুখ কা গাঁও’ চলচ্চিত্রের মাধ্যমে। এরপর ১৯৬২ সালে বিখ্যাত চলচ্চিত্রকার এহতেশামুর রহমান পরিচালিত উর্দু চলচ্চিত্র চান্দাতে অভিনয় করেন। সেই ছায়াছবির পর থেকে তাঁর পিতৃপ্রদত্ত নাম মেরীর বদলে নতুন নাম হয় রাণী সরকার।
‘চান্দা’ চলচ্চিত্রের সাফল্যের পর উর্দু ছায়াছবি ‘তালাশ’ ও বাংলা ছায়াছবি ‘নতুন সুর’-এ কেন্দ্রীয় নারী চরিত্রে অভিনয় করেন রাণী সরকার। এই ছায়াছবি দুটিও বেশ জনপ্রিয় হয়। এরপর তিনি প্রায় ২৫০টিরও বেশি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন। তিনি একজন নৃত্যশিল্পীও ছিলেন।