‘নিবন্ধন আইন দিয়ে সাংবিধানিক অধিকার হরণ করা হচ্ছে’
রাজনৈতিক দল নিবন্ধনের বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সিদ্ধান্ত পুনর্নিরীক্ষার দাবি জানিয়েছে গণসংহতি আন্দোলন। দলটির প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি বলেছেন, ‘নিবন্ধন আইন দিয়ে সাংবিধানিক অধিকার হরণ করা হচ্ছে।’
আজ বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত সমাবেশে এসব বলেন জোনায়েদ সাকি। এ ব্যাপারে নির্বাচন কমিশনে স্মারকলিপি দিতে গিয়ে পুলিশের বাধার মুখে পড়েন দলটির নেতাকর্মীরা। পরে দলটির একটি প্রতিনিধিদল নির্বাচন কমিশনে গিয়ে স্মারকলিপি প্রদান করে।
সংগঠনটির পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শিশুপার্কের সামনে পুলিশী বাধার মুখে পড়লে তা অতিক্রম করে মিছিল এগিয়ে যায় শাহবাগ পর্যন্ত। যানজট বিবেচনায় নিয়ে মিছিল শেষ করা হয় এবং একটি প্রতিনিধিদল নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে গিয়ে স্মারকলিপি পেশ করে।
সমাবেশে জোনায়েদ সাকি বলেন, ‘আইনের শাসন নয়, বরং শাসনের আইন জারি করে রাজনৈতিক দল নিবন্ধনকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করে সব দলকে অনুগত করার চেষ্টা করছে সরকার। নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা যেমন গণতান্ত্রিক অধিকার আবার অংশগ্রহণ না করাও একইরকম অধিকার। কিন্তু আমাদের দেশের নির্বাচনী আইন অনুযায়ী একটি দল পর পর ২ বার জাতীয় নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করলে নিবন্ধন বাতিল হয়ে যাবে। আবার আইন অনুযায়ী সময় সময় গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে রাজনৈতিক দল নিবন্ধনের কথা থাকলেও কার্যত শুধু জাতীয় নির্বাচনের আগেই নিবন্ধন আহ্বান করে নির্বাচন কমিশন, অন্তত গত তিনটি সরকারের মেয়াদে তাই করা হয়েছে। অন্যদিকে ২০১৫ সালের পর থেকে যেহেতু স্থানীয় নির্বাচনও দলীয় অংশগ্রহণের ভিত্তিতে হচ্ছে ফলে নিবন্ধন হারিয়ে ফেললে পাঁচ বছর দলীয়ভাবে স্থানীয় নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা যাবে না। এ আইন চরম স্বেচ্ছাচারী। এই নিবন্ধন আইন দিয়ে সাংবিধানিক অধিকার হরণ করা হচ্ছে।’
সমাবেশে আরো বক্তব্য দেন নির্বাহী সমন্বয়কারী (ভারপ্রাপ্ত) আবুল হাসান রুবেল, রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য তাসলিমা আখতার, ফিরোজ আহমেদ এবং সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য বাচ্চু ভুঁইয়া, আবু বকর রিপন, জুলহাসনাইন বাবুসহ অন্য নেতারা।
এই বিষয়ে জানতে চাইলে নির্বাচন কমিশনের উপ সচিব আব্দুল হালিম খান এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘সঠিক কাগজপত্র ইসির নিকট উপস্থাপন করতে না পারাতে তাদের দলকে নিবন্ধনের জন্য উপযুক্ত মনে করেনি কমিশন। নির্বাচন কমিশনের আইন অনুযায়ী নিবন্ধনের জন্য আবেদন করা প্রতিটি দলের অন্তত ১০০টি উপজেলায় নিজস্ব অফিস থাকতে হবে। জেলা অফিস ২২টিসহ কেন্দ্রীয় অফিস থাকতে হবে। কিন্তু তারা এসব তথ্য আমাদের দিতে পারেনি।’