মা-ভাই ও খালাকে হত্যার ঘটনায় মামলা, এলাকায় আতঙ্ক
পাবনার বেড়া উপজেলায় ছেলের বিরুদ্ধে তাঁর মা, ছোট ভাই ও আপন খালাকে গলা কেটে ও কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠলেও অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করে মামলা করা হয়েছে। তবে ঘটনার সঙ্গে জড়িত কাউকেই এখনো পর্যন্ত পুলিশ আটক করতে পারেনি।
এদিকে অজ্ঞাত ব্যক্তিদের নামে মামলা দায়েরের পর এলাকার মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।
বেড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোজ্জাফর হোসেন জানান, গত বুধবার ভোরে বেড়া উপজেলার নতুন ভারাঙ্গা ইউনিয়নের সোনাপদ্মা গ্রামের মিঠু হোসেনের স্ত্রী বুলি খাতুন (৪০), মিঠু হোসেনের ছেলে তুষার হোসেন (১০) ও আবু বক্করের স্ত্রী নছিমন খাতুনকে (৪৫) গলা কেটে ও কুপিয়ে হত্যা করা হয়। ঘটনার পর নিহত বুলি খাতুনের ছেলে তুহিনের বিরুদ্ধে হত্যা অভিযোগ করেন তুহিনের স্ত্রী রুনা আক্তার (১৯)।
এ ঘটনায় বুধবার রাতে নিহত বুলি ও নছিমন খাতুনের ভাই মিজানুর রহমান বাদী হয়ে অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করে বেড়া মডেল থানায় মামলা করেন।
এদিকে ঘটনার পর অভিযুক্ত তুহিনের স্ত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। পরে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
ঘটনার পর থেকেই পলাতক রয়েছে অভিযুক্ত তুহিন। পুলিশ আরো জানায়, তাঁকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। তুহিনকে গ্রেপ্তার করতে পারলে হত্যার মূল কারণ জানা যাবে।
পুলিশ জানায়, তুহিনের বাবা ও খালু ঢাকায় থাকেন। তাঁদের পরিবারের আর্থিক অবস্থা সচ্ছল নয়। গত মঙ্গলবার তুহিনের কাজকর্ম করা নিয়ে তাঁর সঙ্গে মা বুলবুলি খাতুনের কথা কাটাকাটি হয়। বুধবার ভোরে তুহিনের স্ত্রী রুনা প্রতিবেশীর বাড়িতে গিয়ে চিৎকার করে জানায়, তাঁর স্বামী চাপাতি দিয়ে মা বুলবুলি খাতুন, ছোট ভাই তুষার ও খালা মরিয়ম খাতুনকে হত্যা করেছেন।
প্রতিবেশীরা বাড়িতে গিয়ে দেখতে পায় ওই তিনজনের রক্তাক্ত লাশ বাড়ির উঠানে পড়ে আছে।