নানা আয়োজনে ভোলায় এনটিভির বর্ষপূর্তি উদযাপন
নানা আয়োজন আর বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা এবং কেক কাটার মধ্য দিয়ে ভোলায় এনটিভির বর্ষপূর্তি অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার বেলা ১১টায় ভোলা প্রেসক্লাব মিলনায়তনে প্রেসক্লাব আহ্বায়ক এম এ তাহেরের সভাপতিত্বে এ বর্ষপূর্তি অনুষ্ঠান হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মাসুদ আলম সিদ্দিক। বিশেষ অতিথি ছিলেন পুলিশ সুপার মো. মোকতার হোসেন, প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি এম হাবিবুর রহমান, দৈনিক আজকের ভোলার সম্পাদক শওকাত হোসেন, জেলা আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণবিষয়ক সম্পাদক এবং ভোলা চেম্বার অব কমার্সের পরিচালক শফিকুল ইসলাম সফি।
এনটিভির স্টাফ রিপোর্টার মো. আফজাল হোসেনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য দেন এবং অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আরটিভি ও যুগান্তরের জেলা প্রতিনিধি অমিতাভ রায় অপু, চ্যানেল আই প্রতিনিধি মো. হারুন-অর-রশিদ, ভোলার বাণীর সম্পাদক মো. মাকসুদুর রহমান, প্রথম আলো ভোলার প্রতিনিধি নেয়ামত উল্লাহ, একুশে টিভির প্রতিনিধি মেজবাহ উদ্দিন শিপু, সাংবাদিক সুলাইমান, বৈশাখী টিভির হোসাইন সাদী, তৃতীয় মাত্রা প্রতিনিধি ইয়াছিনুল হক ইমন, দৈনিক আজকের ভোলার মো. ঝিলন, মো. রুবেল হোসেন, তৈয়ব আলী প্রমুখ।
আয়োজিত অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, মিডিয়া হলো জাতির বিবেক। মিডিয়া জগতে অন্যতম ভূমিকা পালন করছে এনটিভি। এনটিভি সব সময় দেশ ও জাতির পক্ষে ছিল। এনটিভি আমাদের মাঝে গৌরব আর ঐতিহ্য হিসেবে রয়েছে। এনটিভি গ্রামগঞ্জ থেকে শুরু করে উচ্চপর্যায়ের তথ্যগুলো তুলে ধরে। প্রতিনিয়ত ঘটে যাওয়া সংগতি আর অসংগতির সংবাদগুলো আমরা দেখতে পাই। তবে সাংবাদিকতা পেশায় যোগ্যতাসম্পন্ন ব্যক্তির থাকা উচিত। এ পেশাটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সাংবাদিকরা ঐক্যবদ্ধ হলে কোনো শক্তি তাদের পরাজিত করতে পারবে না। সেদিকে লক্ষ রেখে মিডিয়া কর্মীরা এগিয়ে যাবে।
এ ছাড়া আলোচনা সভায় মাদক নির্মূল নিয়ে বক্তারা কথা বলেন। তাঁরা বলেন, সারা দেশের মতো ভোলার পুলিশ প্রশাসনও মাদক নির্মূলে কাজ করে যাচ্ছে। তবে মূল অপরাধীদের গ্রেপ্তার করতে হবে। এ জন্য সাধারণ মানুষকে প্রশাসনকে সার্বিক সহযোগিতা করতে হবে। তা না হলে প্রশাসনের একার পক্ষে মাদক নির্মূল করা সম্ভব না। ভোলার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভালো উল্লেখ করেন বক্তারা। তবে হঠাৎ করে এসিড সন্ত্রাস বৃদ্ধিতে উদ্বেগের কথা ব্যক্ত করেন বক্তারা।
পরে আলোচনা শেষে এনটিভির জন্মদিন উপলক্ষে কেক কেটে উৎসব করা হয়। প্রেসক্লাব থেকে একটি বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের হয়ে শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে একই স্থানে গিয়ে শেষ হয়।