ফেসবুক স্ট্যাটাসের জেরে মূকাভিনেতা লোকমানকে মারধর
‘সোনার ছেলেরা! আজ ব্যাপক খেলে দিয়েছো।’ গতকাল শনিবার কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের ওপর হামলার পর নিজের ফেসবুক টাইমলাইনে এমনই একটি স্ট্যাটাস দিয়েছিলেন মূকাভিনয় শিল্পী মীর লোকমান।
আর এই স্ট্যাটাসের একদিন পর আজ রোববার তাঁর ওপর হামলার অভিযোগ উঠেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জগন্নাথ হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি সঞ্জিত চন্দ্র দাসের বিরুদ্ধে।
মীর লোকমান ও কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী জানান, মীর লোকমান আজ বেলা পৌনে ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে ছিলেন। এ সময় ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতা তাঁকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে ডেকে নিয়ে যায়। ছাত্রলীগের এক কেন্দ্রীয় নেতার সঙ্গে মীর লোকমান দাঁড়িয়েছিলেন।
ফেসবুকে স্ট্যাটাসটির বিষয়ে কৈফিয়ত চাইছিলেন, ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় দুই উপসম্পাদক সাদ বিন চৌধুরী ও মো. নাজিম এবং ছাত্রলীগ নেতা বকুল।
এ সময় হঠাৎ করে জগন্নাথ হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি সঞ্জিত চন্দ্র দাস এসে মীর লোকমানকে চড়-থাপ্পড় দিতে শুরু করেন। পরে সেখানে উপস্থিত ছাত্রলীগের কয়েকজন কেন্দ্রীয় নেতা তাঁকে থামান।
তবে মীর লোকমানকে মারধর নয়, তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে বলে দাবি করছেন সঞ্জিত চন্দ্র দাস। তিনি বলেন, ‘তাঁকে মারধর করা হয়নি। সে ছাত্রলীগ নিয়ে উল্টাপাল্টা লিখছে, এজন্য আমরা জিজ্ঞাসাবাদ করছি।’
তবে ঘটনাস্থলে থাকা একাধিক প্রত্যক্ষদর্শী মারধরের কথা জানান।
এ ঘটনার বিচার চেয়ে মীর লোকমান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর বরাবর আবেদন করবেন বলে জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘আমি চাই বিশ্ববিদ্যালয়ে আর কোনো ছাত্রের সঙ্গে আর এমন না ঘটুক।’
এ বিষয়ে জানতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক এ কে এম গোলাম রাব্বানীকে ফোন দেওয়া হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
মীর লোকমান ঢাকা ইউনিভার্সিটি মাইম অ্যাকশনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি। বর্তমানে সংগঠনটির পরিচালক হিসেবে তিনি দায়িত্ব পালন করছেন। দেশ-বিদেশে তিনি চার শতাধিক মূকাভিনয় প্রদর্শনী করেছেন। বাংলাদেশের হয়ে তিনি ভারত, আর্মেনিয়া, দক্ষিণ কোরিয়াসহ বিভিন্ন দেশে মূকাভিনয় শিল্পের প্রতিনিধিত্ব করেছেন।