'জঙ্গি নেটওয়ার্ক ভেঙে দিয়েছি, গুঁড়িয়ে দিয়েছি’
সারা দেশে জঙ্গি নেটওয়ার্ক ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে বলে দাবি করেছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া।
আজ রোববার সকালে গুলশানের হলি আর্টিজান রেস্তোরাঁয় হামলায় নিহত ডিএমপির সহকারী কমিশনার (এসি) রবিউল ইসলাম ও গুলশান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সালাউদ্দিন খান ভাস্কর্য উন্মোচন শেষে আসাদুজ্জামান মিয়া এ কথা বলেন।
ডিএমপিপ্রধান বলেন, ‘আমাদের সর্বশক্তি ও সামর্থ্য দিয়ে জঙ্গি দমনে আত্মনিয়োগ করেছি। আমরা জীবনবাজি রেখে হলি আর্টিজানে যুদ্ধ করেছি। সেখানে আমাদের সহকর্মী দুই পুলিশ ভাই এসি রবিউল ইসলাম ও ওসি সালাউদ্দিন খান জীবন দিয়েছেন। আমরা তাঁদের আত্মত্যাগে মহিমান্বিত হয়ে। শোককে শক্তিতে রূপান্তরিত করেছি।’
হলি আর্টিজানে দেশি-বিদেশি নিহত সবার আত্মার মাগফিরাত কামনা করে আছাদুজ্জামান বলেন, 'প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ডাকে দেশের মানুষ একত্র হয়েছেন। সারা দেশে ৭০টির বেশি ছোট-বড় জঙ্গি আস্তানায় অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। জঙ্গি দমন করতে গিয়ে ঘটনাস্থলেই অনেক জঙ্গি নিহত হয়েছে। আবার অনেককে গ্রেপ্তার করে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।'
ডিএমপি কমিশনার আরো বলেন, 'জঙ্গি নেটওয়ার্ক ভেঙে দিয়েছি, গুঁড়িয়ে দিয়েছি। তবে তা শেষ হয়েছে, বলা যাবে না। কারণ এটি একটি বৈশ্বিক সমস্যা।' তিনি বলেন, 'গোয়েন্দা ও কাউন্টার টেররিজম ইউনিটসহ পুলিশ সদস্যরা জঙ্গি দমনে সর্বদা প্রস্তুত রয়েছে। বাংলাদেশে কোনো ধরনের উগ্রবাদের ঠাঁই হবে না।'
হলি আর্টিজান মামলার অভিযোগপত্র প্রসঙ্গে কমিশনার বলেন, ‘হলি আর্টিজান মামলার মতো একটি জটিল মামলার তদন্ত শেষ করা হয়েছে। এ সপ্তাহেই মামলার চার্জশিট দেওয়া হবে।’
পুলিশ কমিশনার বলেন, প্রধানমন্ত্রীর ডাকে জঙ্গির মতো মাদকের বিরুদ্ধে জিহাদ ঘোষণা করা হয়েছে। যারা মাদক সেবনকারী ও ব্যবসায়ীদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দিচ্ছে এবং যারা মাদক ব্যবসায়ীদের আদালত থেকে জামিনে বের করে নিয়ে আসে, তাদের তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে।
এক প্রশ্নের জবাবে ডিএমপি কমিশনার বলেন, 'গুলশানের ওই জায়গাটি ব্যক্তি মালিকানাধীন। বর্তমানে গুলশানের জায়গার অনেক দাম। সে কারণে ওই জায়গায় পুলিশের ভাস্কর্য স্থাপন করতে দেবে না কর্তৃপক্ষ। তাই গুলশান থানার জায়গাতেই ভাস্কর্য স্থাপন করা হয়েছে। প্রতিবছর পুলিশের পক্ষ থেকে এখানেই শ্রদ্ধা নিবেদন করা হবে।'