ফরিদপুরে স্কুলছাত্র অন্তরের হত্যাকারীদের বিচারের দাবি
ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলার তালমা নাজিমুদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্র আলাউদ্দীন মাতুব্বার অন্তরের হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার ও ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে এলাকাবাসী। আজ শনিবার দুপুর ১২টার দিকে উপজেলার তালমা বাজারে এ মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
সমাবেশে বক্তব্য দেন সংসদ উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর ছেলে ও তাঁর রাজনৈতিক প্রতিনিধি শাহদাব আকবার চৌধুরী লাবু। তিনি বলেন, তালমা নাজিমুদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্র আলাউদ্দীন মাতুব্বার অন্তর হত্যার ঘটনা কোনো রাজনৈতিক ইস্যু নয়, এটা নৃশংস হত্যাকাণ্ড। কেউ এ ঘটনাকে রাজনীতির দিকে ঢেলে দেওয়ার চেষ্টা করবেন না। যারা অন্তরকে নৃশংসভাবে হত্যা করেছে, তাদেরকে বিচারের আওতায় এনে কঠিন শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। এটা মাননীয় সংসদ উপনেতার এলাকা, এখানে এ ধরনের হত্যাকাণ্ড আর দেখতে চাই না। তাই অন্তরের হত্যাকারীরা যত বড় শক্তিশালী হোক না কেন, তাদের বিচার বাংলার মাটিতেই হবে ইনশাল্লাহ।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন সংসদ উপনেতার সহকারী একান্ত সচিব মো. শফি উদ্দীন, জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মনিরুজ্জামান সরদার, সালথা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি দেলোয়ার হোসেন, সহসভাপতি হাবিবুর রহমান হামিদ, সাধারণ সম্পাদক ফারুক উজ্জামান ফকির মিয়া, সাংগঠনিক সম্পাদক চৌধুরী সাব্বির আলী, আইন বিষয়ক সম্পাদক নুরুল ইসলাম, উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতা ওদুদ মাতুব্বার, নগরকান্দা উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতা মারুফ হোসেন চৌধুরী বকুল, সালথা উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের নেত্রী জানেই মারজানা সারমিন, তালমা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি এ কে এম সাইদুল ইমাম মজনু, সাধারণ সম্পাদক মজিবর মৃধা, উপজেলা যুবলীগের নেতা দেলোয়ার হোসেন ফকির, আজাদ হোসেন, সালথা উপজেলা যুবলীগের সহসভাপতি শওকত হোসেন মুকুল, খন্দকার সাজ্জাদ হোসেন, উপদপ্তর সম্পাদক মো. হাবিবুর রহমান মোল্যা, যুবলীগের নেতা সোহেল মাহমুদ, জেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতি দেবাশীষ নয়ন।
মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশে নিহত অন্তরের পরিবারের সদস্যসহ কয়েক হাজার এলাকাবাসী উপস্থিত ছিল।
গত ৭ জুন তারাবি নামাজের জন্য বাড়ি থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হয় অন্তর। সে তালমা নাজিমুদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়ের পড়ত। তার বাবা প্রবাসী আবুল হোসেন। ৭ জুন রাতেই গলায় গামছা পেছিয়ে শ্বাসরোধ করে অন্তরকে হত্যা করা হয়।
পরদিন রাতে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে অন্তরের মা জান্নাতী বেগমের কাছে পাঁচ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে অপহরণকারীরা। পুলিশের সহায়তায় অপহরণকারীদের কথা মতো নির্ধারিত স্থানে এক লাখ ৪০ হাজার টাকা রাখা হলে পুলিশের সামনেই টাকা নিয়ে যায় অপহরণকারী চক্রের দুই সদস্য। ছেলেকে ফেরত পাওয়ার আশায় টাকা নিতে বাধা না দিলেও ফেরত আসেনি ছেলে অন্তর।
এদিকে মোবাইল ফোন নম্বরের সূত্র ধরে খোকন, শাহ আলম ও সুজন নামের তিনজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এরপর মঙ্গলবার গ্রেপ্তার করা হয় মাহবুব আলম নামের অপর একজনকে। তাঁর দেওয়া তথ্যানুসারে পাগলপাড়া গ্রামের নির্জন একটি মাঠ থেকে মাটিতে পুঁতে রাখা অন্তরের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ পর্যন্ত এ ঘটনায় পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করে জেলহাজতে পাঠিয়েছে পুলিশ।