৫ মেয়র প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত হচ্ছে
গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী সাত মেয়র প্রার্থীর মধ্যে পাঁচ প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত হচ্ছে। নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও ঢাকা বিভাগীয় আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা রকিব উদ্দিন মণ্ডল আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে এ কথা জানান।
যাঁদের জামানত বাজেয়াপ্ত হচ্ছে তাঁরা হলেন বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টির প্রার্থী কাজী মো. রুহুল আমিন, স্বতন্ত্র প্রার্থী ফরিদ আহমদ, ইসলামী ঐক্যজোটের প্রার্থী ফজলুর রহমান, বাংলাদেশ ইসলামি ফ্রন্টের মো. জালাল উদ্দিন ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মো. নাসির উদ্দিন।
রকিব উদ্দিন মণ্ডল জানান, নির্বাচনী বিধি অনুযায়ী নির্বাচনে যেসব প্রার্থী প্রদত্ত মোট ভোটের আট ভাগের এক ভাগ ভোট পাবেন না তাঁদেরই জামানতের টাকা বাজেয়াপ্ত হবে।
গত মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত গাজীপুর সিটি নির্বাচনে মোট প্রদত্ত ভোটের সংখ্যা ছয় লাখ ৪৮ হাজার ৭৪৯। সে হিসেবে আট ভাগের এক ভাগের সমান ভোটের সংখ্যা হয় ৮১ হাজার ৯৩ দশমিক ছয় ভোট। নির্বাচনে এই সংখ্যক ভোট পেলেই জামানতের টাকা ফেরত পাবেন প্রার্থীরা।
নির্বাচনী ফলাফল বিশ্লেষণে দেখা গেছে, মেয়র পদে বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টির প্রার্থী কাজী মো. রুহুল আমিন পেয়েছেন ৯৭৩ ভোট, স্বতন্ত্র প্রার্থী ফরিদ আহমদ পেয়েছেন এক হাজার ৬১৭ ভোট, ইসলামী ঐক্যজোটের ফজলুর রহমান পেয়েছেন এক হাজার ৬৫৯ ভোট, বাংলাদেশ ইসলামি ফ্রন্টের মো. জালাল উদ্দিন পেয়েছেন এক হাজার ৮৬০ ভোট এবং ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মো. নাসির উদ্দিন পেয়েছেন ২৬ হাজার ৩৮১ ভোট।
এ থেকে দেখা গেছে জামানত ফেরত পাওয়ার মতো কাঙ্ক্ষিত ভোটের সংখ্যা ওই পাঁচ প্রার্থীর কারো নেই। ফলে তাঁদের জামানত বাজেয়াপ্ত হবে। আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী পেয়েছেন চার লাখ ১০ ভোট এবং বিএনপির প্রার্থী পেয়েছেন এক লাখ ৯৭ হাজার ৬১ ভোট। মেয়র পদে প্রতি প্রার্থী জামানত বাবদ ৫০ হাজার টাকা করে জমা নেওয়া হয়েছে।
গাজীপুর জেলার নির্বাচন কর্মকর্তা মো. তারিফুজ্জামান জানান, গাজীপুর সিটি করপোরেশনের এবারের নির্বাচনে মেয়র পদে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি মনোনীত প্রার্থীসহ সাতজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এঁদের মধ্যে ছয়জন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের মনোনীত এবং একজন স্বতন্ত্র প্রার্থী।
গাজীপুর সিটি করপোরেশনের ৫৭টি সাধারণ ও ১৯টি সংরক্ষিত ওয়ার্ডে ভোটার সংখ্যা ছিল ১১ লাখ ৩৭ হাজার ৭৩৬ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার পাঁচ লাখ ৬৯ হাজার ৯৩৫ জন এবং নারী ভোটার পাঁচ লাখ ৬৭ হাজার ৮০১ জন।