পাবনার শিশু নূর হত্যা মামলায় একজনের মৃত্যুদণ্ড
পাবনার চাটমোহর উপজেলায় চাঞ্চল্যকর শিশু আব্দুল্লাহ আল নূর (৪) হত্যা মামলার রায়ে একজনকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। অপর আরেক আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ ও ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজশাহীর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক শিরীন কবিতা আখতার এ রায় ঘোষণা করেন। মামলার সব আসামি এ সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
ফাঁসির দণ্ডাদেশ পাওয়া আসামির নাম সোহেল বিশ্বাস ও যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ পাওয়া আসামির নাম আবদুস সামাদ।
এ ছাড়া হত্যা মামলার অন্য তিন আসামি সোহেলের স্ত্রী আজিজা আক্তার রুপা, আবদুস সামাদের ছেলে কবির হোসেন ও শিশু নূরের সৎ দাদি আয়শা বেওয়াকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে।
নিহত শিশু আব্দুল্লাহর বাবা আবুল হোসেন ঘোষিত রায়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। মামলার সব আসামির দণ্ডের ব্যাপারে তিনি উচ্চ আদালতে আপিল করবেন বলে জানান।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০১৪ সালের ২৫ জুন চাটমোহর উপজেলা সদরের হারান মোড় এলাকার বাসিন্দা আবুল হোসেনের চার বছরের শিশু-সন্তান আব্দুল্লাহ আল নূর নিখোঁজ হয়। নিখোঁজের দুদিন পর উপজেলার ভাদড়া মাঠে শিশু আব্দুল্লাহর হাত-পা বিহীন মাথা পলিথিনে মোড়ানো অবস্থায় উদ্ধার করা হয়।
এ ঘটনায় নিহত শিশুর বাবা আবুল হোসেন তাঁর বাড়ির ভাড়াটিয়া সোহেল বিশ্বাসকে আটক করে পুলিশে দেন। পরে আবুল হোসেন ছয়জনকে আসামি করে চাটমোহর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। মামলাটি বেশ কিছু দিন পাবনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে চলার পর ন্যায় বিচারের স্বার্থে বাদীর আবেদনে পরবর্তীতে রাজশাহীর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তর করা হয়।
রাষ্ট্রপক্ষে দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিশেষ পিপি অ্যাডভোকেট এন্তাজুল হক বাবু এবং আসামিপক্ষে অ্যাডভোকেট আবু বক্কার, অ্যাডভোকেট একরামূল হক ও অ্যাডভোকেট হামিদুল হক মামলাটি পরিচালনা করেন।