তাবলিগ অনুসারীদের বাড়িতে হামলার প্রতিবাদে ইমামদের বিক্ষোভ
কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম উপজেলায় গত ২৩ জুন তাবলিগ জামাত অনুসারীদের বাড়ি ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে হামলা চালায় সুন্নি জামাত অনুসারীরা। এর প্রতিবাদে আজ বুধবার কুলিয়ারচর উপজেলায় প্রতিবাদ সভা ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে স্থানীয় ইমাম ও উলামা পরিষদ।
এই কর্মসূচিতে কুলিয়ারচর, ভৈরব, বাজিতপুর, কটিয়াদী ও অষ্টগ্রামসহ জেলার বিভিন্ন উপজেলার কয়েক হাজার ইমাম-ওলামাসহ সমর্থকরা অংশ নেন।
প্রতিবাদ সভায় আগামী ১ জুলাইয়ের মধ্যে তদন্ত সাপেক্ষে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানানো হয়। তা না হলে, প্রশাসনসহ অপরাধীদের বিরুদ্ধে গণআন্দোলনের মাধ্যমে প্রতিরোধ গড়ে তোলা হবে বলে তারা হুঁশিয়ারি জানায়।
কুলিয়ারচর বাজারের জামেয়া আরাবিয়া নূরুল উলুম মাদ্রাসায় অনুষ্ঠিত এই প্রতিবাদ সভায় সভাপতিত্ব করেন মাওলানা ফরিদ উদ্দিন। সভায় বক্তব্য দেন মাওলানা মুফতি আবদুল কাইয়ূম খান, বাজিতপুর ইমাম ও উলামা পরিষদের সভাপতি মাওলানা আবদুল আহাদ, কুলিয়ারচর উলামা পরিষদের নেতা মাওলানা উবায়দুল্লাহ, মাওলানা এনায়েত উল্লাহ ভৈরবী প্রমুখ।
এ সময় বক্তারা বলেন, জায়গা-সম্পত্তি নিয়ে পারিবারিক বিরোধের জেরে গত ২৩ জুন শনিবার ভোরে পাওন গ্রামের জামে মসজিদের ইমাম মাওলানা জাকির হোসেনের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। এই হামলার ঘটনার সঙ্গে তাবলিগ জামাতের কোনো অনুসারী জড়িত না থাকলেও, ওই ইস্যুকে কেন্দ্র করে সুন্নি নামদারি উগ্রপন্থী কয়েক হাজার লোক কাগজী গ্রামে অতর্কিত হামলা হামলা চালায়। তাবলিগ জামাতের অনুসারীদের ঘরবাড়ি, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে ভাঙচুরসহ লুটপাট চালায়।’
কিন্তু এই ঘটনার চারদিন পেরিয়ে গেলেও থানায় কোনো মামলা নেয়নি পুলিশ। তাই তারা কর্মসূচি দিতে বাধ্য হয়েছে বলে জানায়।
প্রতিবাদ সভা শেষে তারা জামেয়া আরাবিয়া নূরুল উলুম মাদ্রাসা চত্বর থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করে। মিছিলটি শহরের বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন শেষে ফিরে আসে। পরে এক সমাবেশে বেঁধে দেওয়া সময়ের মধ্যে ব্যবস্থা না নিলে বিক্ষোভ মিছিল, প্রতিবাদ সভা, মানববন্ধন ও সড়ক অবরোধের মতো কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দেওয়া হয়।