অনশনে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন শিক্ষকরা
স্বীকৃতপ্রাপ্ত নন-এমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে এমপিওভুক্তির প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের দাবিতে শিক্ষকদের আমরণ অনশনের তৃতীয় দিনে অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়েছেন।
আজ বুধবার দুপুর পর্যন্ত ৩৬ জন শিক্ষক অসুস্থ হয়ে পড়েছেন বলে জানিয়েছে আন্দোলনরত শিক্ষক-কর্মচারীদের সংগঠন নন-এমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শিক্ষক-কর্মচারী ফেডারেশন।
জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আন্দোলনরত এই শিক্ষকরা গত ১০ জুন থেকে অবস্থান নিয়ে আছেন। দাবি পূরণ না হওয়ায় গত ২৫ জুন থেকে তাঁরা আমরণ অনশন কর্মসূচি শুরু করেছেন।
টানা তিন দিন অনশন কর্মসূচি পালন করতে গিয়ে নারী ও বয়স্ক শিক্ষকরা একের পর এক অসুস্থ হয়ে পড়ছেন।
আন্দোলনরতরা জানিয়েছেন, যতক্ষণ পর্যন্ত দাবি পূরণের ব্যাপারে সুস্পষ্ট ঘোষণা না আসছে, ততক্ষণ তাঁরা তাঁদের আন্দোলন এভাবেই চালিয়ে যাবেন। এমনকি অবস্থান কর্মসূচি চলাকালে ঈদ পালন করতে বাড়িও ফিরে যাননি তাঁরা। এসব শিক্ষক-কর্মচারীর ঈদ কেটেছে প্রেসক্লাবের সামনের রাস্তায়।
এদিকে, ফেডারেশনের পক্ষ থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সারা দেশে পাঁচ হাজার ২৪২টি স্বীকৃতিপ্রাপ্ত নন-এমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে (স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা, কারিগরি) কর্মরত প্রায় ৮০ হাজার শিক্ষক-কর্মচারীকে এমপিওভুক্তির দাবিতে গত ৫ জানুয়ারি অনশন চলাকালীন প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে একান্ত সচিব মো. সাজ্জাদুল হাসান, শিক্ষা সচিব সোহরাব হোসাইনকে সঙ্গে নিয়ে উপস্থিত হন। তিনি প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে সব নন-এমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত করার প্রতিশ্রুতি দেন।
তবে ২০১৮-১৯ প্রস্তাবিত বাজেটে প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী এমপিওভুক্তি বাস্তবায়নের জন্য সুনির্দিষ্ট কোনো অর্থ বরাদ্দ রাখা হয়নি। খবরটি সারা দেশের নন-এমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে। শিক্ষকরা আহাজারি-আর্তনাদে ও বিক্ষোভে ফেটে পড়েন, তাই আগের ঘোষণা অনুযায়ী ১০ জুন পবিত্র রমজান মাসে সারা দেশ থেকে আসা শিক্ষকরা জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অবস্থান গ্রহণ করেন। শিক্ষকরা পুলিশি বাধা, গ্রেপ্তার, বৃষ্টি-বাদল, রোদ ও ভ্যাপসা গরম, রাতে মশার কামড় খেয়ে কুকুর-বিড়ালের মতো রাজপথের ফুটপাতে লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন।
এরপর ২৪ জুন থেকে শুরু হয় শিক্ষকদের আমরণ অনশন কর্মসূচি।