সিইসিকে ধন্যবাদ জানাল বিএনপি
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নুরুল হুদাকে ধন্যবাদ জানিয়েছে বিএনপি। আজ মঙ্গলবার বিকেলে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন ভবনে আয়োজিত বৈঠকে এই ধন্যবাদ জানায় দলটি।
বৈঠক শেষে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু জানান, সরকারের চাহিদা মতো নির্বাচন দিয়ে আগামীর বাংলাদেশে গণতন্ত্রের কবর রচনা করার জন্য নির্বাচন কমিশন যে রাস্তাটি তৈরি করেছে তার জন্য সিইসিকে ধন্যবাদ দিয়েছে বিএনপি।
আজ বিকেলে সিইসি কে এম নুরুল হুদার সঙ্গে বিএনপির তিন সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল বৈঠকে বসে। বৈঠকে আরো ছিলেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল ও সাংগঠনিক সম্পাদক এমরান সালেহ প্রিন্স।
বৈঠক শেষে বরকত উল্লাহ বুলু সাংবাদিকদের বলেন, আজকে গাজীপুর সিটি করপোরেশনে যেভাবে নির্বাচন হয়েছে এজন্য ওনাদের আমরা ধন্যবাদ দিয়েছি। সরকার যেভাবে চেয়েছে নির্বাচন কমিশন সেভাবে নির্বাচন করেছে। এজন্য তাদের ধন্যবাদ। আমরা সিইসিকে বলেছি, আগামী দিনে বাংলাদেশের গণতন্ত্রের কবর রচনার জন্য আপনারা যে রাস্তাটি তৈরি করেছেন সেজন্য ধন্যবাদ। আপনাদের কাছে আপাতত আমাদের আর কোনো অভিযোগ নেই।
বুলু বলেন, আজকে নির্বাচন কীভাবে হয়েছে তা দেশবাসী দেখেছে। গাজীপুরে আমাদের এজেন্টদের বের করে দেওয়ার ব্যাপারে সেখানকার আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের থেকে পুলিশের ভূমিকা বেশি ছিল বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নুরুল হুদার সঙ্গে বৈঠকের পর বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, যুগ্ম মহাসচিব মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল ও সাংগঠনিক সম্পাদক এমরান সালেহ প্রিন্স। ছবি : এনটিভি
এ সময় বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল অভিযোগ করে বলেন, আমরা অভিযোগ করি নির্বাচন কমিশনের কাছে। আর উত্তর দেয় এইচ টি ইমাম সাহেব, ওবায়দুল কাদের সাহেব। আমরা তো তাদের কাছ থেকে উত্তর চাই না। আমরা কমিশনের কাছ থেকে উত্তর চাই।
আলাল বলেন, আমরা সিইসিকে সব কিছু জানানোর পর তিনি আমাদের নেতাকর্মীদের শেষ পর্যন্ত মাঠে থাকার পরামর্শ দিয়েছেন।
বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব বলেন, খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনের মতো গাজীপুর সিটি নির্বাচনের শুরু থেকেই সেখানকার পুলিশ সুপারকে প্রত্যাহার করতে বলেছিলাম। কিন্তু তারা এ বিষয় মাথায় নেয়নি। সেখানকার পুলিশ সুপার, তাঁর নেতৃত্বে জ্যাকেট পরা ডিবি পুলিশ সেখানে আজকে চূড়ান্ত রুদ্রমূর্তি ধারণ করেছেন। পুলিশ আমাদের এজেন্টদের প্রথমে একটি রুমে নিয়ে যায়। তারপর ডিবি পুলিশ এসে তাদের নিয়ে যায়। এবং বলে চলে, কথা আছে। অনেক জায়গায় আমাদের প্রার্থীর নির্বাচনী ক্যাম্প ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।
আলাল আরো বলেন, ইসির মোবাইল টিম, মনিটরিং টিম থেকে আমরা কোনো সহযোগিতা পাইনি।