কেন্দ্রে সংঘর্ষের পর ভোট স্থগিত, ব্যালট পেপার ছিনতাই
গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে একটি কেন্দ্রে ভোট চলাকালে দুই কাউন্সিলর প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় ব্যালট পেপার ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে। পরে নির্বাচন কমিশন সেখানে প্রায় আধা ঘণ্টা ভোট গ্রহণ বন্ধ রাখে।
আজ মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে গাজীপুরের কাসেমপুরের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের বাগবাড়ী হাক্কানিয়া ছালেহিয়া আলিম মাদ্রাসা-২-এর ভোটকেন্দ্রের নারী বুথে এ সংঘর্ষের ঘটনায় ছয়জন আহত হন।
নির্বাচন কমিশনের (ইসি) নিয়ন্ত্রণ কক্ষের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মেজর রাজু (এনআইডি আইডিয়া প্রজেক্ট) দুপুরে এনটিভি অনলাইনকে এসব তথ্য জানিয়েছেন।
মেজর রাজু বলেন, ‘হাক্কানিয়া ছালেহিয়া আলিম মাদ্রাসা-২ বুথে দুই কাউন্সিলর প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে ব্যালট পেপার ছিনতাই ও জাল ভোট দেওয়াকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ হয়। এতে অন্তত ছয়জন আহত হয়েছে বলে জানতে পেরেছি। সঙ্গে সঙ্গেই ঘটনাস্থলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়। তবে কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।’
নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তা আরো বলেন, ‘সংঘর্ষের সময় কিছু ব্যালট পেপারও ছিনতাই করে নিয়ে যায় তারা। ওই সময় কেন্দ্রটিতে ভোট গ্রহণ সাময়িক স্থগিত করা হয়। আধা ঘণ্টা স্থগিত রেখে আবারও যথানিয়মে ভোট গ্রহণ শুরু হয়েছে। এখন পরিস্থিতি একেবারেই স্বাভাবিক। ওই ভোট কেন্দ্রে মোট তিন হাজার ২৪ জন নারী ভোটারের ভোট দেওয়ার কথা রয়েছে।’
আজ মঙ্গলবার সকাল ৮টা থেকে এ সিটি করপোরেশনের ভোট শুরু হয়। ভোট চলবে একটানা বিকেল ৪টা পর্যন্ত। এই নির্বাচনে ৪২৫টি কেন্দ্রে মোট ভোটার সংখ্যা ১১ লাখ ৩৭ হাজার ৭৩৬ জন। মোট সাত মেয়র প্রার্থীর পাশাপাশি ২৫৪ জন সাধারণ কাউন্সিলর ও ৮৪ জন সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর প্রার্থী এই নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
আরো প্রার্থী থাকলেও গাজীপুর সিটির মেয়র পদে প্রধান দুই প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী হলেন আওয়ামী লীগের (নৌকা) মনোনীত জাহাঙ্গীর আলম ও বিএনপির (ধানের শীষ) মনোনীত হাসান উদ্দিন সরকার। সকালে নগরীর বশিরউদ্দিন উদয়ন একাডেমি স্কুল কেন্দ্রে ভোট দেন বিএনপির প্রার্থী। অন্যদিকে আওয়ামী লীগের মেয়র পদপ্রার্থী জাহাঙ্গীর আলম নগরীর কানাইয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট দিয়েছেন।