‘সোমবার থেকে আমরণ অনশনে যাব’
দাবি আদায়ে ধারাবাহিক আন্দোলনের অংশ হিসেবে রাষ্ট্রপতির কাছে স্মারকলিপি দিয়েছে নন-এমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শিক্ষক-কর্মচারী ফেডারেশন।
এমপিওভুক্তির জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, তা বাস্তবায়নের দাবিতে চলমান আন্দোলনের অংশ হিসেবে আজ শুক্রবার নন-এমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শিক্ষক-কর্মচারী ফেডারেশনের পাঁচ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল বঙ্গভবনে গিয়ে স্মারকলিপি জমা দেয়।
স্মারকলিপি দিয়ে ফিরে আসার পর ফেডারেশনের সভাপতি অধ্যক্ষ মাহমুদুন নবী ডলার বলেন, ‘আমরা দাবি বাস্তবায়নের ব্যাপারে সরকারের পক্ষ থেকে কোনো বক্তব্য আসে কি না, সে জন্য আগামী রোববার পর্যন্ত অপেক্ষা করব। তারপর সোমবার থেকে আমরা আমরণ অনশনে যাব।’
এদিকে সকাল থেকেই সংগঠনটির নেতাকর্মীরা প্রেসক্লাবের বিপরীত দিকের রাস্তায় অবস্থান নিয়ে স্বীকৃতিপ্রাপ্ত সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির দাবিতে স্লোগান দেয়। এ সময় নন-এমপিও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপের মাধ্যমে এমপিওভুক্তির বিষয়টি সুরাহার দাবি জানান।
এ ছাড়া নতুন বাজেটে বিষয়টি নিয়ে কোনো বরাদ্দ না থাকায় শিক্ষকরা হতাশা প্রকাশ করেন।
নন-এমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীরা জানান, ২০০৬ সাল থেকে তাঁরা আন্দোলন করে আসছেন। এখন পর্যন্ত এটি তাঁদের ২৭তম পর্যায়ের আন্দোলন। গত ৫ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আশ্বাসে তাঁরা আন্দোলন স্থগিত করে ঘরে ফিরে যান। এরপর সরকারের বিভিন্ন পর্যায় থেকে বলা হয়েছে, নতুন অর্থবছরে নতুন বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত করা হবে।
কিন্তু অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত ২০১৮-১৯ অর্থবছরের যে বাজেট প্রস্তাব করেন, সেখানে তিনি নতুন এমপিওভুক্তির বিষয়ে সুস্পষ্ট কিছু বলেননি। যদিও শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেছেন, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জন্য যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে, তা থেকে পর্যায়ক্রমে এমপিওভুক্ত করা হবে। এই প্রেক্ষাপটে পরিবার-পরিজন, স্ত্রী-সন্তানদের রেখে তাঁরা রাজধানীর রাজপথেই ঈদের নামাজ আদায় করেন।
এবারের বাজেটে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দুই বিভাগের জন্য ৫৩ হাজার ৫৪ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে। এটি প্রস্তাবিত জাতীয় বাজেটে খাতওয়ারি দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বরাদ্দ। তবে বরাদ্দের ক্ষেত্রে প্রাথমিক বিদ্যালয়, কারিগরি বিদ্যালয় ও কলেজ নির্মাণসহ বিভিন্ন অবকাঠামোর ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।