শুরু হচ্ছে ‘ই পাসপোর্টে’র কাজ
বাংলাদেশি পাসপোর্টের নিরাপত্তা বৃদ্ধিতে উন্নত প্রযুক্তি সম্পন্ন ই-পাসপোর্ট চালু করার জন্য চার হাজার ৬৩৫ কোটি ৯১ লাখ টাকা ব্যয়ে একটি প্রকল্পের অনুমোদন দিয়েছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক)। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে বহির্বিশ্বে বাংলাদেশি পাসপোর্টের গ্রহণযোগ্যতা বৃদ্ধির পাশাপাশি ইমিগ্রেশন চেকপোস্টে বাংলাদেশি ও বিদেশি নাগরিকদের সুষ্ঠুভাবে গমনাগমন সুনিশ্চিত হবে বলে আশা করছে সরকার।
রাজধানীর শেরেবাংলানগর এনইসি সম্মেলন কক্ষে আজ বৃহস্পতিবার একনেক চেয়ারপারসন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে একনেক সভায় ‘বাংলাদেশে ই-পাসপোর্ট ও স্বয়ংক্রিয় বর্ডার নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থাপনা প্রবর্তন’ প্রকল্পসহ মোট ১৪টি প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হয়। এতে ব্যয় ধরা হয়েছে ১৬ হাজার ৯৭২ কোটি ২৪ লাখ টাকা। এরমধ্যে সরকারি তহবিল থেকে ব্যয় হবে ৯ হাজার ৮২৮ কোটি ৮২ লাখ টাকা, প্রকল্প সাহায্য ছয় হাজার ৫৫৪ কোটি ৯৬ লাখ এবং ৫৮৮ কোটি ৪৬ লাখ টাকা পাওয়া যাবে সংস্থার নিজস্ব তহবিল থেকে।
সভাশেষে পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল প্রকল্প সম্পর্কে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ‘ই-পাসপোর্ট প্রকল্পের আওতায় বহির্বিশ্বের সাথে সামঞ্জস্য রেখে সর্বশেষ উন্নত প্রযুক্তিসম্পন্ন পাসপোর্ট ইস্যু করা হবে। যা বাংলাদেশি পাসপোর্টের নিরাপত্তা বৃদ্ধি ও বহির্বিশ্বে বাংলাদেশি পাসপোর্টের গ্রহণযোগ্যতা বাড়াবে।’
সুরক্ষা সেবা বিভাগের আওতায় ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তর জুলাই, ২০১৮ হতে জুন, ২০২৮ মেয়াদকালে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হবে।
পরিকল্পনামন্ত্রী জানান,‘পদ্মা বহুমুখী সেতুর নির্মাণ প্রকল্পের জন্য অতিরিক্ত এক হাজার ১৬২ দশমিক ৬৭ হেক্টর ভূমি অধিগ্রহণের জন্য এক হাজার ৪০০ কোটি টাকার বাড়তি অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
মুস্তফা কামাল বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী নিদের্শনা দিয়েছেন, হাওর এলাকায় আগামীতে যেসব রাস্তা তৈরি হবে সেগুলো এলিভেটেড করতে হবে। যাতে নিচ দিয়ে নৌকা বা সাম্পান চলতে পারে। উপর দিয়ে রাস্তা থাকবে।তাহলে আলাদা করে ব্রিজ করতে হবে না। এক খরচেই সব কাজ হবে।’
একনেকে অনুমোদিত অন্য প্রকল্পগুলোর মধ্যে আছে, কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল স্থাপন প্রকল্প, দেশব্যাপী ডিজিটাল টেরিস্ট্রিয়াল সম্প্রচার প্রবর্তন প্রকল্প, ২১টি জেলার সুবিধাবঞ্চিত নারী ও শিশুর প্রাথমিক স্বাস্থ্য, প্রজনন স্বাস্থ্য ও পুষ্টি সেবা প্রদান প্রকল্প ইত্যাদি।