বিয়ের পিঁড়ি থেকে কনেকে তুলে নেওয়ার চেষ্টা, গণপিটুনি
মানিকগঞ্জে বিয়ের পিঁড়ি থেকে কনেকে অপহরণের চেষ্টা করা হয়েছে। তবে সফল হয়নি অপহরণকারীরা। উল্টো এলাকাবাসীর হাতে ধরা পড়ে গণপিটুনি খেয়েছেন দুই অপহরণকারী।
গতকাল মঙ্গলবার রাতে মানিকগঞ্জের দৌলতপুর উপজেলার পাররৌহা গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গত রাতে পাররৌহা গ্রামের ফজলুর রহমানের মেয়ে ঊর্মি আক্তারের (১৮) সঙ্গে তাঁর ফুফাতো ভাই স্বপন হোসেনের বিয়ে হচ্ছিল। পারিবারিকভাবেই এই বিয়ের আয়োজন করা হয়।
ঊর্মির বাবা ফজলুর রহমান জানান, প্রতিবেশী সাহাদত সরকারের ছেলে নাহিদ সরকার (১৯) তাঁর মেয়েকে কিছু দিন ধরে উত্ত্যক্ত করছিলেন। এ কারণে তড়িঘড়ি করেই স্বপনের সঙ্গে ঊর্মির বিয়ের আয়োজন করা হয়। গতকাল সন্ধ্যার পর বরযাত্রী আসে তাঁর বাড়ি।
বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা চলার সময় রাত সাড়ে ১০টার দিকে নাহিদের নেতৃত্বে ধারালো অস্ত্র হাতে সাত-আটজন যুবক বিয়েবাড়িতে বাড়িতে প্রবেশ করে। এ সময় তারা বিয়ের পিঁড়ি থেকে ঊর্মিকে অপহরণের চেষ্টা করে। এতে বাধা দিতে গেলে স্বজনদের মারপিটও করে ওই যুবকরা।
এদিকে বিয়ে বাড়ির মানুষের চিৎকারে স্থানীয়রা এসে অপহরণকারীদের বাধা দেয়। ওই উপজেলার রৌহা গ্রামের সাদেক আলীর ছেলে আখিনুর রহমান (২০) ও সাচ্চুর ছেলে রবিউল ইসলামকে (২২) আটক করে গণপিটুনি দেয় স্থানীয়রা। পরে এই দুজনকে বেঁধে রাখা হয়। আর উত্তেজিত জনতার ধাওয়ায় অন্যরা পালিয়ে যায়। এরপর ওই দুজনকে পুলিশের হাতে তুলে দিতে স্থানীয় চেয়ারম্যান ও মেম্বারকে খবর দেওয়া হয়।
এ ব্যাপারে দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুনীল কুমার কর্মকার বলেন, বিষয়টি কেউ এখনো পুলিশকে জানায়নি। তবে খোঁজ নিয়ে দেখা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।