গৃহকর্মীকে তড়িঘড়ি দাফনের চেষ্টা, পুলিশকে জানাল জনতা
মানিকগঞ্জের দৌলতপুর উপজেলায় এক তরুণীর লাশ দাফনে বাধা দিয়েছে স্থানীয় জনতা। ওই তরুণী ঢাকায় এক সিঙ্গাপুরপ্রাবাসীর বাসায় গৃহকর্মী হিসেবে কাজ করতেন। তাঁকে নির্যাতন করে হত্যা করা হয়েছে- এমন অভিযোগ এনে পুলিশে খবর দেয় তারা।
আজ সোমবার সকালে উপজেলার বড়জোলা গ্রামের লোকজন থানায় খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়।
নিহত তরুণীর নাম সুফিয়া আক্তার (২০)। তিনি ওই গ্রামের রহিম মল্লিকের মেয়ে। দুই ভাই চার বোনের মধ্যে সুফিয়া মেজ। আট মাস ধরে তিনি নবীনগরের হাবিবুর রহমান হাবিবের বাসায় কাজ করতেন। হাবিব সিঙ্গাপুর প্রবাসী।
স্বজনরা জানান, গতকাল রোববার সন্ধ্যার পর হাবিবের স্ত্রী আলেয়া বেগম গৃহকর্মী সুফিয়ার লাশ তাঁর গ্রামের বাড়িতে বাবা-মার কাছে নিয়ে আসেন। আলেয়া পরিবারকে জানান, সুফিয়ার স্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে। পরে রাতেই তড়িঘড়ি করে লাশ দাফনের চেষ্টা করা হয়।
এ সময় লাশের শরীরে আঘাতের চিহ্ন দেখে স্থানীয়দের সন্দেহ হয়। এরপর তাঁরা লাশ দাফনে বাধা দিয়ে পুলিশে খবর দেন।
বড়জোলা গ্রামের বাসিন্দা শরিফুল ইসলাম জানান, লাশের মাথায় দুটি কোপের দাগ ও গিরায় ব্যান্ডেজ আছে। সারা শরীর অ্যাসিডে ঝলসানোর মতো মনে হচ্ছে। আর লাশে পচন ধরে দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়েছে। এতে ধারণা করা হচ্ছে, দুই-তিন দিন আগেই নির্যাতন করে হত্যা করা হয়েছে।
সুফিয়ার বাবা রহিম মল্লিক বলেন, ‘লোকজন বলছে মেরে ফেলা হয়েছে। আমি স্থানীয় মেম্বার ও চেয়ারম্যানকে জানিয়েছি। তাঁরা একটা ব্যবস্থা করে দিবেন।’
স্থানীয় ইউপি সদস্য হালিম আলী মৃধা জানান, হত্যা করা হয়েছে কি না, তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তারপরও বিষয়টি নিয়ে বসে একটা ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
সিঙ্গাপুরপ্রবাসী হাবিবের স্ত্রী আলেয়া বেগম দাবি করেন, ‘সুফিয়াকে হত্যা করা হয়নি। বেতনের তিন হাজার টাকা বাবাকে দেওয়ার পর সে নিজের শরীরে গরম পানি ঢেলে দিয়েছিল। এ থেকেই রোববার সকালে সে মারা যায়।’
এ ব্যাপারে দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুনীল কর্মকার জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেছে। বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখা হচ্ছে।