রাজধানীর গণপরিবহনে ‘ঈদ সেলামি’
পবিত্র শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা গেছে। কাল শনিবার পবিত্র ঈদুল ফিতর। এরই মধ্যে প্রাণের শহর ঢাকা অনেকটাই ফাঁকা। নেই কর্মব্যস্ততা। সেই সঙ্গে নেই রাস্তায় চিরচেনা যানজট।
কিছু কিছু জায়গায় বাসগুলো যাত্রীর আশায় দাঁড়িয়ে ছিল। তবে সেসব বাসে যাত্রী উঠলেই দিতে হয়েছে অতিরিক্ত ভাড়া। আর সেই অতিরিক্ত ভাড়াই হলো ঈদ সেলামি বা বখশিশ। অতিরিক্ত এ ভাড়া ‘ঈদ সেলামি’র নামে আদায় করছেন চালকের সহকারীরা।
আজ শুক্রবার রাজধানীর গুলিস্থান, মিরপুর, কারওয়ান বাজার, ফার্মগেট, বাংলামোটর, পল্টন, কাকরাইল, বনানী, চেয়ারম্যানবাড়ী, উত্তরা, নিউমার্কেট, সাইন্সল্যাব, শনির আখড়া, রায়েরবাগ ও সদরঘাট এলাকায় এ চিত্র দেখা গেছে।
কারওয়ান বাজার এলাকায় বিহঙ্গ পরিবহনের চালকের সহকারী জনি এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘আজ ও কাল এ দুই দিন ঈদের সেলামি চাচ্ছি। সারা বছরই তো আমরা যাত্রীদের নির্দিষ্ট ভাড়া নেই। তবে কোনো যাত্রী যদি দিতে না চান তাহলে চাপ দেওয়া হচ্ছে না।’
জনি জানান, সবার মতো তিনিও তাঁর পরিবারের সব সদস্যকে ঈদের জামা-কাপড় কিনে দিতে চান। আজ সেলামি পেলে রাতেই সবার জন্য কাপড়-চোপড় কিনে দেবেন।
সুপ্রভাত বাসের চালক মামুন বলেন, ‘আজ ও কাল দুই দিন ঈদ উপলক্ষে পাঁচ টাকা করে বাড়তি নিচ্ছি। আমাদের তো ঈদ আছে। সারা বছরই পাবলিকদের আমরা যাতায়াতে সহায়তা করি। তাই ঈদে তাদের থেকেই বাড়তি টাকা নেই।’
কাজল নামের এক যাত্রী বলেন, ‘আমি শনির আখড়া থেকে গুলিস্থান যাচ্ছি। ১৫ টাকার ভাড়া চালকের সহকারী রেখেছে ২০ টাকা। তবে ঈদ উপলক্ষে একটু দেওয়াই যায়।’
এদিকে পুরান ঢাকার বাহাদুর শাহ পার্কের সামনে সদরঘাট-মিরপুর রুটে চলাচলকারী ইউনাইটেড, তানজিল, বিহঙ্গ পরিবহনে যাত্রী উঠার আগেই আজ বলা হয় পাঁচ টাকা বেশি।