শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ি নৌপথ হয়ে দক্ষিণাঞ্চলের ঘরমুখো যাত্রীদের ঢল নেমেছে। শিমুলিয়া ফেরি ঘাটে রয়েছে যানবাহনের দীর্ঘ লাইন। ঢাকা থেকে দক্ষিণাঞ্চলের জেলাগুলোতে পৌঁছাতে বেশতি টাকা ভাড়া দিতে হচ্ছে।

আজ শুক্রবার সকালে কাঁঠালবাড়ী ঘাটে গিয়ে এ দৃশ্য চোখে পড়ে।

লঞ্চসহ নৌযানগুলোকে অতিরিক্ত যাত্রী বোঝাই করে চরম ঝুঁকি নিয়েই বিভিন্ন গন্তব্যে ছেড়ে যেতে দেখা যায়। অভ্যন্তরীণ বাসগুলো দূরপাল্লায় চলাচল করায় স্থানীয় যাত্রীরা পড়েছেন সীমাহীন দুর্ভোগে।

অপরপ্রান্তে যাত্রী না থাকার অজুহাতে ঢাকা থেকেই প্রতিটি যানবাহনে দেড়গুণ, দ্বিগুণ ভাড়া আদায় করা হচ্ছে। শিমুলিয়া ঘাট থেকে স্পিডবোটে আদায় হচ্ছে ১৩০ টাকার ভাড়া ২০০ টাকা। লঞ্চে ৩০ টাকার ভাড়া নেওয়া হচ্ছে ৩৫ থেকে ৪০ টাকা। লঞ্চগুলোতে অতিরিক্ত যাত্রী বোঝাই করে পদ্মা নদী পার হতে দেখা গেছে।

কাঁঠালবাড়ি ঘাট থেকে ছেড়ে যাওয়া সব যানবাহনই বাড়তি ভাড়া আদায় করছে। বাসগুলোতেও ছাদ বোঝাই করে যাত্রী নেওয়া হচ্ছে। বাস ও মাইক্রোবাসে বরিশালের ভাড়া ২০০ টাকার স্থলে ৪০০ টাকা, খুলনার ভাড়া ২০০ টাকার স্থলে ৩০০ টাকা, নড়াইলের ভাড়া দেড়শ টাকার স্থলে আড়াইশ টাকা আদায় করা হচ্ছে। এদিকে যাত্রী চাপ সামাল দিতে কাঁঠালবাড়ি ঘাট থেকে খালি ফেরি ও লঞ্চ শিমুলিয়া ঘাটে পাঠানো হচ্ছে।

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিসি) মেরিন কর্মকর্তা আহমেদ আলী বলেন, গতকাল মধ্যরাত থেকে এ নৌপথ হয়ে যানবাহনের চাপ বেড়েছে। তবে পর্যাপ্ত ফেরি থাকায় বেশি সময় আটকে থাকতে হচ্ছে না। প্রায় ৩০০ যানবাহন পারাপারের অপেক্ষায় রয়েছে।