মুক্তির সঙ্গে সঙ্গে ছাত্রদল সভাপতি রাজীব গ্রেপ্তার
জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সভাপতি রাজীব আহসানকে কেরানীগঞ্জে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের গেট থেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ বৃহস্পতিবার রাতে জামিনে মুক্ত হওয়ার পরই তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। রুহুল কবির রিজভী বার্তা সংস্থা ইউএনবিকে জানিয়েছেন, ‘সাদা পোশাকের পুলিশ রাজীবকে গ্রেপ্তার করেছে।’ এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানান তিনি। অবিলম্বে তাঁর মুক্তি দাবি করেন রিজভী।
এর আগে গত ৮ ফেব্রুয়ারি নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে রাজীবকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। সম্প্রতি হাইকোর্ট থেকে জামিন পান তিনি।
রাজীবকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে রাত সাড়ে ১০টায় সংবাদ সম্মেলন করেন রিজভী। রিজভী বলেছেন, ঈদুল ফিতরের ন্যায় এই উৎসবের সময়েও বিএনপি এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ও কর্মীদের ওপর নির্যাতনে নেমে আসা খড়গ আঘাত করছে। দীর্ঘ সাড়ে চার মাস কারাবন্দি থাকার পর সব মামলায় জামিনপ্রাপ্ত হয়ে কারাগার থেকে মুক্তি পাওয়ার পরেও জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সভাপতি রাজীবকে পুনরায় গোয়েন্দা পুলিশ কর্তৃক গ্রেপ্তারের সরকারি অভিপ্রায় সুস্পষ্ট। সরকার অন্ধকারাচ্ছন্ন রাজনৈতিক আকাশ পরিষ্কার করতে চায় না। জুলুমের পরিকাঠামো নির্মাণ করে দেশব্যাপী জনগণকে বন্দি করে গণতন্ত্রকে চিরস্থায়ীভাবে সমাহিত করার জন্যই সরকার মামলা, হামলা, গ্রেপ্তার, রিমান্ড, জামিনে মুক্তি পাবার পরও জেলগেটে পুনরায় গ্রেপ্তারের মহাহিড়িক শুরু করে দিয়েছে। সরকারের ভিত্তি যেহেতু নড়বড়ে সেজন্য বিরোধী দল, মত ও বিশ্বাসের মানুষদের কারাগারে স্থায়ী ঠিকানা নিশ্চিত করতে তারা সব আয়োজন সম্পন্ন করছে। এই অবৈধ সরকার ক্ষমতা হারানোর ভয়ে সবসময় শঙ্কিত, তাই নিজেদের টেনশন দূর করতে ক্ষমতায় টিকে থাকার পথে কাঁটা সরাতে রাজীবদের ন্যায় তরুণ ছাত্রনেতাদেরকে বারবার গ্রেপ্তার করছে। দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ছাত্রদল সভাপতি রাজিবকে জেলগেট থেকে গ্রেপ্তারের ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন এবং অবিলম্বে তার সকল মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করে নিঃশর্ত মুক্তির দাবি করেছেন।