নব্য জেএমবির নারী শাখার ‘প্রধান’ কারামুক্ত
জঙ্গি সংগঠন নব্য জেএমবির নারী শাখার ‘প্রধান’ হুমায়রা ওরফে নাবিলা কারাগার থেকে ছাড়া পেয়েছেন। গতকাল বুধবার বিকেলে গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে বেরিয়ে যান তিনি। গত বছর ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবসের অনুষ্ঠানে হামলার পরিকল্পনায় জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
হুমায়রা সংগঠনে 'ব্যাট উইমেন' হিসেবে পরিচিত। তিনি নব্য জেএমবির আরেক শীর্ষ জঙ্গি তানভীর ইয়াসিন করিমের স্ত্রী। তানভীর এখনো কারাবন্দি।
গত মঙ্গলবার ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালত থেকে নাবিলা জামিন পান।
গতকাল কাশিমপুর কেন্দ্রীয় মহিলা কারাগারের সুপার মোহাম্মদ শাজাহান বলেন, 'হুমায়রা ওরফে নাবিলার জামিনের কাগজ পেয়েছি।’ তা যাচাই-বাছাই শেষে এদিন বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে তাকে মুক্তি দেওয়া হয় বলে জানান তিনি।
কাশিমপুর মহিলা কারাগারের জেলার উম্মে সালমা জানান, নাবিলার বিরুদ্ধে ঢাকার কলাবাগান থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা রয়েছে। গত ৫ এপ্রিল রাজধানীর সিদ্ধেশ্বরী এলাকা থেকে গ্রেপ্তার হন হুমায়রা ওরফে নাবিলা। পরে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের মাধ্যমে ৮ এপ্রিল কাশিমপুর কেন্দ্রীয় মহিলা কারাগারে স্থানান্তরিত হন তিনি। কারামুক্তির তার বাবা এমএ জাকির তাকে নিয়ে গেছেন।
জাতীয় শোক দিবসে জঙ্গি হামলার পরিকল্পনায় জড়িত থাকার অভিযোগে নাবিলাকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশের কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি)।
গত বছর ১৫ আগস্ট রাজধানীর পান্থপথে হোটেল ওলিও ইন্টারন্যাশনালে অভিযান চালিয়ে পুলিশ যে জঙ্গি হামলার চেষ্টা নস্যাৎ করে, সেই ঘটনায় সম্পৃক্ততার অভিযোগে প্রথমে খুলনা থেকে আত্মঘাতী বোমা হামলাকারী সাইফুলের বন্ধু আবদুল্লাহ বিন মোসাদ্দেক সামিকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর গত ২০ নভেম্বর গ্রেপ্তার দেখানো হয় করিম ইন্টারন্যাশনাল নামে একটি প্রকাশনা সংস্থার কর্ণধার তানভীর ইয়াসিন করিমকে।
পুলিশ বলছে, হুমায়রাই তানভীরকে জঙ্গিবাদে উদ্বুদ্ধ করেন এবং আকরাম হোসেন খান নিলয়ের মাধ্যমে জঙ্গি কর্মকাণ্ডে অর্থায়ন করেন।
হুমায়রা ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেন। পরে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় ও মালয়েশিয়ায় পড়ালেখা করেছেন। হুমায়রার বাবার রাজধানীর হাতিরপুলে একটি বিলাসবহুল শপিং মল রয়েছে।