স্ত্রী হত্যার ১৪ বছর পর ফাঁসির রায়, আসামি পলাতক
স্ত্রী হত্যার ১৪ বছর পর বাবুল মিয়া নামের এক ব্যক্তির ফাঁসির রায় দিয়েছেন আদালত। আজ মঙ্গলবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতের বিচারক মো. জুয়েল রানা এই রায় দেন। একই সঙ্গে আসামিকে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। তবে আসামি বাবুল মিয়া এখনো পলাতক রয়েছেন।
যৌতুকের দাবিতে স্ত্রী সখিনাকে পিটিয়ে হত্যা করেছিলেন বাবুল মিয়া। জেলার রূপগঞ্জ উপজেলার নওয়াপাড়ায় একটি ভাড়া বাড়িতে এই নৃশংস হত্যাকাণ্ড হয়। হত্যার পরই বাবুল মিয়া পালিয়ে যান।
মামলার বাদী নিহত সখিনার বাবা তমিজ উদ্দিন জানান, মাত্র ৫০ হাজার টাকা যৌতুকের দাবিতে ২০০৪ সালের ১৫ মে সখিনাকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করেন বাবুল মিয়া। আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তির পাঁচ দিন পর সখিনা মারা যান।
তমিজ উদ্দিন জানান, হত্যার মাত্র দুই বছর আগে সখিনার বিয়ে হয়েছিল। বিয়ের পর থেকেই যৌতুকের জন্য প্রায়ই সখিনাকে নির্যাতন করতেন বাবুল।
এই মামলার রাষ্ট্রপক্ষের বিশেষ আইনজীবী রকিব উদ্দিন বলেন, ‘সখিনা খাতুনকে তাঁর স্বামী বাবুল ৫০ হাজার টাকা যৌতুকের জন্য বেদম মারধর করে। পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সখিনা মারা যান। এই মামলার আজকে রায় হলো। বিজ্ঞ আদালত এই মামলায় বাবুলকে মৃত্যুদণ্ডের রায় দিলেন এবং এক লাখ টাকা জরিমানা করলেন। সেই জরিমানার টাকা আদায় করে বাদীকে দেওয়া হবে।’
এই হত্যা মামলায় ১৪ জন সাক্ষী ছিলেন। এর মধ্যে সাতজন আদালতে হাজির হয়ে সাক্ষ্য দিয়েছেন। সব সাক্ষ্য-প্রমাণ গ্রহণ শেষে আদালত আজ এই রায় জানান।