পর্নো বানানো ‘পীরের’ বিরুদ্ধে প্রতিবেদন আসেনি ১০ মাসেও
জিন ও ভূত তাড়ানোর নামে তরুণীদের পর্নো ভিডিও ধারণ করে প্রতারণা করার অভিযোগে গ্রেপ্তার রাজধানীর কথিত পীর আহসান হাবিব পেয়ারের বিরুদ্ধে ১০ মাসেও তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেনি পুলিশ। আর সে কারণে এ মামলার বিচারকাজ বিলম্বিত হচ্ছে।
আজ শনিবার মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কাউন্টার টেরিজমের সাইবার ক্রাইম ইউনিটের উপ-পরিদর্শক (এসআই) সজীবুজ্জামান সাংবাদিকদের এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এসআই জানান, আসামি পেয়ারের ব্যাংকে কত টাকা রয়েছে বা কী ধরনের লেনদেন হয়েছে সে তথ্যের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকে স্টেটমেন্ট চাওয়া হয়েছে। সে স্টেটমেন্ট পেলে তাঁর বিরুদ্ধে আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হবে।
ঢাকার অপরাধ, তথ্য ও প্রসিকিউশন বিভাগের উপ-কমিশনার আনিসুর রহমান এনটিভি অনলাইনকে জানান, আসামি আহসান হাবীব পেয়ার গত বছরের ১ আগস্ট থেকে কারাগারে আটক রয়েছেন। সে এ মামলায় ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জবানবন্দি দেন।
আনিসুর রহমান জানান, এ মামলায় তদন্ত প্রতিবেদন পেলে মামলাটি ব্চিারের জন্য পাঠানো হবে।
গত ১ আগস্ট দিবাগত রাতে রাজধানীর খিলগাঁও এলাকা থেকে পুলিশের কাউন্টার টেররিজমের সাইবার ক্রাইম ইউনিট আসামি পেয়ারকে গ্রেপ্তার করে।
মামলার নথি থেকে জানা যায়, আহসান হাবিব পেয়ার দাওরায়ে হাদিসে পড়াশোনা করেছেন। নিজেকে এএইচপি টিভির সাংবাদিক বলে পরিচয় দিতেন এবং নিজের ইউটিউব চ্যানেলে ধর্মের কথা বলে জনপ্রিয়তা অর্জন করেন পেয়ার। সম্প্রতি তিনি নিজেকে পীর দাবি করে জিন তাড়ানোর কথা বলে তরুণীদের নির্যাতন করতেন বলে মামলার এজাহারে বলা হয়েছে।
এ ছাড়া বিভিন্ন সময় মেয়েদের সঙ্গে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যৌন উত্তেজক কথা বলে এবং পরে এদের অনেককে নিজ বাসায় এনে প্রতারণা করে যৌন সম্পর্ক স্থাপন করতেন।
এ ঘটনায় পেয়ারের বিরুদ্ধে খিলগাঁও থানায় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি এবং পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করেন একাধিক ভুক্তভোগী তরুণী।