হকার্স মার্কেটের আগুন নিয়ন্ত্রণে, জ্বলছে মসজিদ মার্কেটে
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের ১০টি ইউনিটের টানা প্রায় পাঁচ ঘণ্টার চেষ্টার পর ময়মনসিংহ শহরের প্রাণকেন্দ্র গাঙ্গিনারপাড় এলাকার হকার্স মার্কেটের আগুন নিয়ন্ত্রণে এলেও এখন তা পাশের মসজিদ মার্কেটে ছড়িয়েছে।
আজ সকালে ৭টার দিকে এ অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়। আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে দুপুর পৌনে ১২টার দিকে। কিন্তু তার কিছু পরেই পাশের মসজিদ মার্কেটের দোতলায় আগুন জ্বলতে দেখা গেছে।
তবে কোথা থেকে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত, তা নিশ্চিত করতে পারেনি ফায়ার সার্ভিস।
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের বিভাগীয় সহকারী পরিচালক শহীদুর রহমান এনটিভি অনলাইনকে বলেন, অগ্নিকাণ্ডে মার্কেটের অধিকাংশ দোকান ও মালামাল ভস্মীভূত হয়েছে। ঘটনার পর পরই আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য কাজ শুরু করেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা।
‘মার্কেটের চারপাশে উঁচু ভবন থাকায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সমস্যা হয়। এ ছাড়া আশপাশে জলাধার না থাকায় পানির সরবরাহ ব্যাহত হয়। কিছুটা দূরের ব্রহ্মপুত্র থেকে পানি সংগ্রহ করতে হয়।’
দুপুরে হকার্স মার্কেটের আগুন নিয়ন্ত্রণে এলেও কিছু সময় পরে পাশের মসজিদ মার্কেটের দোতলায় আগুন জ্বলতে দেখা যায়। ভয়ে সেখান থেকে মালামাল সরিয়ে নেওয়া শুরু করেন ব্যবসায়ীরা।
ফায়ার সার্ভিসের সহকারী পরিচালক শহীদুর রহমান আরো জানান, এখন মসজিদ মার্কেটের আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য চেষ্টা চালানো হচ্ছে।
অগ্নিকাণ্ডের ক্ষয়ক্ষতি নিয়ে এখনই কিছু বলা যাচ্ছে না বলে মন্তব্য করেন সহকারী পরিচালক।
এদিকে ঘটনাস্থলে লোকসমাগম ঠেকাতে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) ও পুলিশ সদস্যরা কাজ করছেন।
হকার্স মার্কেটটিতে ছিল জুতা, টেইলারিং, জামা-কাপড়, কসমেটিকস, এমব্রয়ডারি, মেশিনারিজের যন্ত্রাংশ বিক্রির দেড় শতাধিক ছোট-বড় দোকান। ঈদ সামনে রেখে মালামাল আমদানি করেছিলেন ব্যবসায়ীরা। সব পুড়ে গেছে এবং বিনষ্ট হয়েছে বলে দাবি করেছেন ব্যবসায়ীরা।
খবর পেয়ে জেলা প্রশাসক ড. সুভাষ চন্দ্র বিশ্বাস ঘটনাস্থলে গিয়ে ক্ষতিগ্রস্তদের প্রতি সমবেদনা জানান। পরে তিনি আজ-কালের মধ্যে তাঁর নিজস্ব তহবিল থেকে এবং সরকারি অনুদানের ব্যবস্থা করবেন বলে আশ্বাস দেন ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের। এর আগে ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণের কথাও বলেন জেলা প্রশাসক।