এজলাস থেকে পালালেন হত্যা মামলার আসামি
ফরিদপুরে আদালতের এজলাস থেকে পালিয়ে গেছেন হত্যা মামলার আসামি ফরিদ শেখ (২৬)। আজ মঙ্গলবার বেলা পৌনে ১২টার দিকে ফরিদপুরের প্রথম জজ আদালতে এ ঘটনা ঘটে।
আসামি ফরিদ শেখ ফরিদপুর শহরের গুহলক্ষ্মীপুর মহল্লার বাসিন্দা।
আদালত-সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, আজ ফরিদের মামলার শুনানি শেষ হওয়ার পর তিনি প্রথম জজ আদালতের এজলাসের মধ্যে পুলিশের কনস্টেবল রবিউল ইসলামের জিম্মায় ছিলেন। তাঁর সঙ্গে ছিলেন আরো চার আসামি। ওই সময়ে ফরিদ কৌশলে তাঁর হাতকড়া খুলে এজলাস থেকে পালিয়ে যান।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে পুলিশের কোর্ট পরিদর্শক নাজনীন বেগম বলেন, ‘কনস্টেবল রবিউল ছাড়াও উপপরিদর্শক (এসআই) জিল্লুর রহমান ওই এজলাসে আসামিদের দায়িত্বে ছিলেন। ওই সময় এসআই জিল্লুর অন্য একটি এজলাসে থাকা আসামিদের দেখতে গিয়েছিলেন। এ সময় ফরিদ হাতকড়া খুলে পালিয়ে যায়।
গত ২০১১ সালের ১৫ আগস্ট রাসেল শেখকে হত্যা করে তার ইজিবাইক ছিনতাই করে নিয়ে যায় অজ্ঞাত ঘাতকেরা। পরে রাসেলের লাশ পাওয়া যায় ফরিদপুর সদরের চর মাধবদিয়া ইউনিয়নে।
এ ঘটনায় রাসেলের বাবা নূরুল আমিন অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করে ফরিদপুর কোতোয়ালি থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। পরে পুলিশ ফরিদ শেখসহ চারজনকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দেন।
ওই বছরের ১৭ সেপ্টেম্বর ফরিদ শেখকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ওইদিন থেকে ফরিদ জেলা কারাগারে হাজতি হিসেবে ছিলেন। আজ এই মামলার শুনানির দিন নির্ধারিত ছিল।