‘ডিবি ধরার’ চারদিন পর মিলল যুবদলের দুই নেতাকর্মীর লাশ
ময়মনসিংহ পাটগুদাম এলাকায় রেলব্রিজের নিচ থেকে আজ মঙ্গলবার সকালে যুবদলের দুই নেতাকর্মীর গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
যুবদল নেতার ছোট ভাইয়ের দাবি, গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সদস্যরা চারদিন আগে শহরের একটি মাদক নিরাময় কেন্দ্র থেকে তাঁর ছোট ভাইকে ধরে নিয়ে যায়। টাকা না দেওয়ায় গুলি করে হত্যা করেছে।
এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে ডিবি পুলিশ। কোতোয়ালি থানা পুলিশের দাবি, নিহত দুজন মাদক ব্যবসায়ী।
নিহত নেতাকর্মীরা হলেন ময়মনসিংহ শহরের ১৬ নম্বর ওয়ার্ড যুবদলের যুগ্ম সম্পাদক ইদ্রিস আলী (৪৫) ও যুবদল কর্মী মুন্না মিয়া (৩৫)। তাঁদের বাড়ি শহরের পুরোহিতপাড়া এলাকায়। ইদ্রিস শাকসবজি বিক্রি করতেন। মুন্না এলাকাতে বাবার মুদি দোকান দেখাশোনা করতেন।
ময়মনসিংহ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাহমুদুল ইসলামের দাবি, ইদ্রিসের নামে আটটি ও মুন্নার নামে মাদকসহ ১২টি মামলা রয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠিয়েছে। কীভাবে তাঁরা মারা গেছে তদন্ত করে দেখা হবে বলে জানান ওসি।
এ বিষয়ে ইদ্রিসের ছোট ভাই শহরের ১৬ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মো. সিদ্দিক বলেন, ‘ভাই নেশাটেশা করত বলে ব্যবসার ক্ষতি হতো। তাই মাসকান্দা এলাকায় সেবা মাদক নিরাময় কেন্দ্রে ভর্তি করেছিলাম।
সিদ্দিক দাবি করেন, গত শুক্রবার রাতে সেবা মাদক নিরাময় কেন্দ্রের মালিক নিপুন আমাদের ফোন করে বলেন, তাঁর ভাইসহ তিনজনকে ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) নাজিম ধরে নিয়ে গেছেন। পরে ডিবি অফিসে খোঁজ নিতে গেলে এসআই নাজিম প্রথমে অস্বীকার করেন। পরে বলেন, টাকা দিলে চালান করে দেব। আজ সকালে ব্রিজের নিচে ভাইয়ের লাশ দেখলাম।’
যোগাযোগ করা হলে এসআই নাজিম বলেন, ‘এ ব্যাপারে আমি কিছু জানি না। ইদ্রিস নামের কাউকে আমি চিনিও না। আমি তাঁকে গ্রেপ্তার করিনি।’
আজ দুপুরে সেবা মাদক নিরাময় কেন্দ্রে গেলে প্রতিষ্ঠানটি বন্ধ পাওয়া যায়। প্রতিষ্ঠানটির কারো সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হয়নি।