দুর্নীতির মামলায় পাওয়ার গ্রিডের ডিএমডির কারাদণ্ড
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলায় পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশ লিমিটেডের সাবেক উপব্যবস্থাপক (ডিএমডি) আরশাদ হোসেনকে তিন বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
আজ সোমবার ঢাকার ১ নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক আতাউর রহমান এ রায় ঘোষণা করেন।
দুদকের আদালত পরিদর্শক আশিকুর রহমান সাংবাদিকদের জানান, আসামিকে কারাদণ্ডের পাশাপাশি ৫০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
আশিকুর রহমান জানান, আসামি আরশাদ আজ আদালতে হাজির না হওয়ায় বিচারক তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।
নথি থেকে জানা যায়, ২০১০ সালে আরশাদ হোসেনের বিরুদ্ধে অর্থপাচারের অভিযোগের অনুসন্ধানে নামে দুদক। অনুসন্ধান শেষে তদন্ত কর্মকর্তা আসামির বিরুদ্ধে সম্পদ বিবরণী দাখিলের সুপারিশসহ কমিশনে প্রতিবেদন দাখিল করেন।
এরপর দুদক আসামিকে সম্পদ বিবরণী দাখিলের নোটিশ দেয়।
পরে ২০১০ সালের ২ মে দুদকের উপপরিচালক গোলাম শাহরিয়ার চৌধুরীর স্বাক্ষরে সাত কার্য দিবসের মধ্যে সম্পদ বিবরণী দাখিলের নোটিশ ইস্যু করা হয়।
এরপর ওই বছরের ৪ মে আসামি নিজে স্বাক্ষর করে সম্পদ বিবরণীর নোটিশ গ্রহণ করেন। তারপর ১১ মে আসামি সম্পদ বিবরণী দাখিলের জন্য আরো সাতদিন সময় চেয়ে কমিশনে আবেদন করেন। তখন কমিশন তাঁর আবেদন মঞ্জুর করে।
এরপর সম্পদ বিবরণী দাখিলের জন্য আরো সাত কার্যদিবস সময় দেওয়া হয়। সর্বশেষ ২৩ মে বর্ধিত সময়ের মেয়াদ শেষ হয়। কিন্তু নির্দিষ্ট সময়ে তিনি সম্পদ বিবরণী দাখিল করেননি। পরে ২০১০ সালের ২৮ জুন দুদক আরশাদ হোসেনের বিরুদ্ধে মামলা করার অনুমোদন দেয়। এরপর ২৯ জুন রাজধানীর ধানমণ্ডি থানায় তাঁর বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক।
২০১২ সালের ৫ আগস্ট দুদকের উপপরিচালক মোহাম্মদ ইব্রাহিম আরশাদের বিরুদ্ধে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিমের আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। মামলায় বিভিন্ন সময়ে পাঁচজন সাক্ষ্য প্রদান করেন।