কাপাসিয়ায় কৃষক লীগের ইফতার মাহফিলে হামলা
গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলায় আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে কৃষকলীগের ইফতার মাহফিলে হামলা চালিয়ে পণ্ড করেছে সন্ত্রাসীরা। এ সময় কৃষক লীগের নেতাকর্মীদের বহনকারী তিনটি মাইক্রোবাস ও মঞ্চসহ চেয়ার টেবিল ভাঙচুর করা হয়। হামলাকারীরা সভাস্থল থেকে ইফতারসামগ্রী ছিনিয়ে নেয় এবং তছনছ করে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, কাপাসিয়া উপজেলার বারিষাব ইউনিয়নের গাওরাব এলাকায় কাজীবাড়ি ঈদগাহ মাঠে বৃহস্পতিবার বিকেলে আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিলের আয়োজন করা হয়। বারিষাব ইউনিয়ন কৃষক লীগ এ ইফতার মাহফিল এবং সরকারের উন্নয়নকাজ প্রচার সভার আয়োজন করে। এ উন্নয়ন প্রচার সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ কৃষক লীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি মোতাহার হোসেন মোল্লা। এতে প্রধান আলোচক ছিলেন কৃষক লীগের উপদেষ্টা ও বঙ্গতাজ তাজউদ্দীন আহমদের ভাগ্নে আলম আহমদ। বিকেলে বারিষাব ইউনিয়ন কৃষক লীগের সভাপতি কাজী মেজবার সভাপতিত্বে উন্নয়ন প্রচার সভা শুরু হয়। এ সময় স্থানীয় সন্ত্রাসীরা সভাস্থলে কয়েক দফা হামলার চেষ্টা করলে কৃষক লীগের নেতাকর্মীদের বাধার মুখে তারা ফিরে যায়। পরে সন্ত্রাসীরা সভা মঞ্চের পেছন দিক থেকে পুনরায় লাঠিসোঁটা নিয়ে হামলা করে কৃষক লীগের নেতাকর্মীদের বহনকারী তিনটি মাইক্রোবাস, মঞ্চ ও চেয়ার টেবিল ভাঙচুর করে এবং কয়েকজনকে মারধর করে। হামলাকারীরা কেন্দ্রীয় নেতাদের ওপর হামলার চেষ্টা করলে নেতাকর্মীরা তাঁদের প্রতিহত করার চেষ্টা করে। এতে দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া শুরু হয়। একপর্যায়ে হামলাকারীরা আয়োজিত অনুষ্ঠানের ইফতার সামগ্রী ছিনিয়ে নিয়ে যায়। এতে অনুষ্ঠান পণ্ড হয়ে যায় এবং কয়েকজন আহত হয়।
বাংলাদেশ কৃষক লীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি মোতাহার হোসেন মোল্লা এবং কৃষক লীগের উপদেষ্টা, বঙ্গতাজ তাজউদ্দীন আহমদের ভাগ্নে আলম আহমদ অভিযোগ করেন, ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নামধারী কিছু চিহ্নিত সন্ত্রাসী এ হামলা করেছে। এ সময় মঞ্চ, মঞ্চে থাকা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ছবি ও তিনটি মাইক্রোবাস ভাঙচুর করা হয়েছে। সন্ত্রাসীরা তাঁদের ওপর হামলার চেষ্টা করেছে।
এ বিষয়ে কাপাসিয়া উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন প্রধান বলেন, কৃষক লীগের কোনো অনুষ্ঠানে হামলার সঙ্গে ছাত্রলীগ বা যুবলীগ জড়িত নয়। তাদের এসব অভিযোগ মিথ্যা। তাদের নিজেদের কোন্দলের কারণে নিজেদের মধ্যেই মারামারি হয়েছে।