শতাধিক মাদক ব্যবসায়ীর সম্পদের অনুসন্ধান শুরু দুদকের
দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) রাজধানীসহ সারা দেশের শতাধিক মাদক ব্যবসায়ীর সম্পদের অনুসন্ধান শুরু করেছে। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর এর আগে এসব মাদক ব্যবসায়ীর তালিকা দুদকে পাঠিয়েছিল।
দুদকের উপপরিচালক (জনসংযোগ) প্রণব কুমার ভট্টাচার্য আজ বুধবার বাসসকে বলেন, ‘মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের পাঠানো তালিকা অনুযায়ী শতাধিক মাদক ব্যবসায়ীর সম্পদের অনুসন্ধান করতে দুদকের একাধিক টিম এরই মধ্যে মাঠপর্যায়ে কাজ শুরু করেছে।’
প্রণব কুমার ভট্টাচার্য জানান, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের পাঠানো তালিকা যাচাই-বাছাই শেষে কমিশনের অনুমোদন সাপেক্ষে শতাধিক ব্যক্তির মাদক সংক্রান্ত ৭৭টি অভিযোগ নথিভুক্ত করা হয়েছে।
দুদকের বিভিন্ন বিভাগের পরিচালক পর্যায়ের কর্মকর্তারা অনুসন্ধান কাজ সমন্বয় করছেন বলে দুদকের এই মুখপাত্র জানান। তিনি জানান, অনুসন্ধান শেষে এসব মাদক ব্যবসায়ীর সম্পদের হিসাব বিবরণী কমিশনে দাখিলের জন্য তাদের বলা হবে।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশে ৪৬৫ জন মাদক ব্যবসায়ীর তালিকা প্রথম পর্যায়ে গত বছরের জানুয়ারি মাসে দুদকের কাছে হস্তান্তর করে। এ তালিকা আরো যাচাই-বাছাই করে দ্বিতীয় পর্যায়ে অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে চলতি বছরের জানুয়ারিতে ১৪১ জন মাদক ব্যবসায়ীর তালিকা দুদকে দেওয়া হয়।
এদিকে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক (ইন্টিলিজেন্স) নজরুল ইসলাম সিকদার বাসসকে জানান, তালিকাভুক্ত মাদক ব্যবসায়ীদের ব্যাপারে আরো তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে তাদের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। তালিকাভুক্তদের ব্যাপারে গোয়েন্দা নজরদারিও বাড়ানো হয়েছে বলে তিনি জানান।
নজরুল ইসলাম বলেন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে পুলিশ, র্যাব, আনসার, বিজিবি, মাদকদ্রব্য অধিদপ্তর ও কোস্ট গার্ডসহ সব গোয়েন্দা সংস্থার সমন্বয়ে একটি কোর কমিটি গঠন করা হয়েছে। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোহাম্মদ জামাল উদ্দিনকে এ কোর কমিটির প্রধান করা হয়েছে।