পাবনার সেই অধ্যক্ষকে ওএসডি
প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় নকল সরবরাহের অভিযোগে পাবনা সরকারি শহীদ বুলবুল কলেজের অধ্যক্ষ ড. এ কে এম রিজাউল করিমকে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওএসডি) পদে স্ট্যান্ড রিলিজ (বদলি) করা হয়েছে।
গতকাল রোববার বিকেলে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব ফাতেমা তুল জান্নাত স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এই আদেশ দেওয়া হয়। আজ মঙ্গলবারের মধ্যে বদলিকৃত কর্মস্থলে যোগ দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় নকল সরবরাহে সহযোগিতার অভিযোগে গত শনিবার সকালে পাবনার সরকারি শহীদ বুলবুল কলেজের অধ্যক্ষ ড. এ কে এম রিজাউল করিমসহ বিভিন্ন কলেজের চার শিক্ষককে আটক করে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। পরে তাঁকেসহ অন্যদের পুলিশের গাড়িতে করে পাবনা সদর থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। অধ্যক্ষ রিজাউল করিমকে সারা দিন থানায় ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) রুমে বসিয়ে রাখা হয়। শনিবার রাত ১১টার দিকে তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
এ ছাড়া পরীক্ষায় অসাদুপায় অবলম্বনের অভিযোগে শনিবার ১৫ পরীক্ষার্থীকে মোবাইল ডিভাইসসহ আটক করা হয়। তাঁদের প্রত্যেককে ১৫ দিন করে কারাদণ্ডাদেশ দেন ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রিফাত ইসলাম। আটক অন্য তিন কলেজ শিক্ষকের বিরুদ্ধে পাবনা সদর থানায় মামলা করা হয়। তবে মূল অভিযুক্ত রিজাউল করিমকে ছেড়ে দেওয়ায় এই বিষয়টি নিয়ে নানা প্রশ্ন দেখা দেয়।
এ বিষয়ে পাবনার পুলিশ সুপার জিহাদুল কবীর বলেন, ‘একজন অধ্যক্ষ তথা শিক্ষক সমাজের মান সম্মানের কথা বিবেচনা করে তাঁকে থানা থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়। তবে এই মামলায় তাঁর বিরুদ্ধে তদন্ত চলবে। এমন কি চার্জশিটও হতে পারে।’
পুলিশ সুপার বিস্ময় প্রকাশ করে বলেন, ‘আমরা ভেবেছিলাম শহরের একটি বড় কলেজের অধ্যক্ষকে আটক করা হলো না জানি কত প্রতিবাদ হবে। কিন্তু আমরা দেখলাম তার উল্টো। তাঁকে কেন ছাড়া হলো এ জন্য মানুষ পুলিশকে ধিক্কার দিচ্ছে।’
এ ব্যাপারে পাবনার জেলা প্রশাসক মো. জসিম উদ্দিন বলেন, ‘মাননীয় শিক্ষা সচিব ধীরে চলো নীতি অবলম্বন করতে বলেছিলেন। অধ্যক্ষকে আটক করার পর সব মহল খুশি হয়েছে। কিন্তু একটি সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ হওয়ায় তাঁকে ছাড় দেওয়া হয়েছে। তবে জেলা প্রশাসন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে যে প্রতিবেদন পাঠিয়েছে তাতে তাঁর আর চাকরি থাকবে না।’