ফরিদপুরে ডায়রিয়ার প্রকোপ, হাসপাতাল থেকে ফিরছেন অনেকে
ফরিদপুরসহ আশেপাশের এলাকাগুলোতে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। জেলায় ডায়রিয়ার চিকিৎসায় একমাত্র হাসপাতাল ফরিদপুর জেনারেল হাসপাতালে ডায়রিয়া রোগীদের আসন সংখ্যা মাত্র ১৮টি। ফলে চিকিৎসা নিতে এসে ফিরে যাচ্ছেন রোগীরা। ছুটছেন হাসপাতাল থেকে হাসপাতালে। বিড়ম্বনার মুখোমুখি হচ্ছেন রোগীদের স্বজনরাও।
ফরিদপুর জেনারেল হাসপাতালটির চিকিৎসক ও সেবিকারা জানান, গত ৩৬ ঘণ্টায় হাসপাতালে ৫৩ জন রোগী ভর্তি হয়েছেন। হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায়, এখানে সেখানে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছেন রোগীরা। আসন সংখ্যার অনেক বেশি রোগী থাকায় বারান্দাতেও শুয়ে পড়েছেন অনেক রোগী।
চিকিৎসকেরা জানান, আরো অনেক রোগী জায়গা না পেয়ে ফিরে গেছেন।
এ ব্যাপারে ফরিদপুর জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) ডা. গণেশ কুমার আগরওয়াল বলেন, ‘জেলায় ডায়রিয়া সেবা দেওয়ার মতো একমাত্র হাসপাতাল ফরিদপুর জেনারেল হাসপাতাল। এখানে আমাদের সিট সংখ্যা রয়েছে মাত্র ১৮টি, যা খুবই অপ্রতুল। জেলা ও জেলার বাইরে থেকে প্রচুর রোগী এখানে আসেন। যে কারণে এত ছোট জায়গায় আমরা ঠিকঠাক মতো সেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছি।’
এদিকে, ফরিদপুর জেনারেল হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায়, পাশের জেলা থেকে অনেক রোগীকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসা হলে, সেখানে ডায়রিয়া রোগীদের জন্য চিকিৎসা সেবা না থাকায় তাদেরকেও পাঠানো হচ্ছে ফরিদপুর জেনারেল হাসপাতালে।
তাই, ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও ফরিদপুর জেনারেল হাসপাতালে আলাদাভাবে আসন সংখ্যা বাড়াতে এবং স্থায়ীভাবে একটি ডায়রিয়া সেন্টার খোলার দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগী মানুষেরা।
চিকিৎসকেরা জানান, এ সময় আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণে ডায়রিয়া প্রকট হয়ে ওঠে। তাই, খাবারসহ জীবনযাপনের ব্যাপারে একটু সচেতন হলে অনেকটা ভালো থাকা যায়।