হাসপাতালের অর্থ আত্মসাতের মামলায় চিকিৎসকসহ আসামি ৩
ভুয়া বিলের মাধ্যমে সরকারের প্রায় দেড় কোটি টাকা উত্তোলন করে আত্মসাতের অভিযোগ এনে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সাবেক উপপরিচালক ডা. মো. আবদুস ছালামসহ তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
গতকাল বৃহস্পতিবার সিলেট মহানগর পুলিশের কোতোয়ালী মডেল থানায় মামলাটি দায়ের করেন দুদক সিলেট সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপসহকারী পরিচালক মাহবুবুল হক। মামলাটি দুদকের একজন কর্মকর্তা তদন্ত করবেন বলেও এজাহারে উল্লেখ করেন তিনি।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন রাজধানীর বিজয়নগর এলাকার মেসার্স প্রাইম এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী মো. জাকির হোসেন (৩৯) ও ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের প্রাক্তন হিসাবরক্ষক মো. আব্দুল কুদ্দুছ আটিয়া (৬১)।
কোতোয়ালী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. গৌছুল হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, দুদকের সিলেট সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপসহকারী পরিচালক মাহবুবুল হকের দায়ের করা এজাহারটি বৃহস্পতিবার মামলা হিসেবে নথিভুক্ত করা হয়েছে। দুদক আইনের কয়েকটি ধারায় মামলাটি দায়ের করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
মামলার এজাহারে জানা যায়, ২০১৫-১৬ অর্থবছরে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে কথিত এমএসআর সামগ্রী সরবরাহের নামে অসৎ উদ্দেশ্যে অপরাধমূলক বিশ্বাসভঙ্গ, প্রতারণা, জালিয়াতি ও ক্ষমতার অপব্যবহার করে ২৪টি ভুয়া বিলের মাধ্যমে সরকারের ১ কোটি ৫৭ লাখ ৯৬ হাজার ৬৪ টাকা উত্তোলন করে আত্মসাত করে লাভবান হয়েছেন আসামিরা। যা দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন ১৯৪৭ এর ৫ (২) ধারায় শাস্তিযোগ্যে অপরাধ। এজন্য তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হলো। তদন্তে আর কারে সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেলে তাদেরও আসামি করা হবে বলে এজাহারে উল্লেখ রয়েছে।
মামলার প্রধান আসামি ডা. মো. আবদুস ছালামের বক্তব্য নেওয়ার জন্য মোবাইল ফোনে কয়েকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তার ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।