ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ট্রেনের টিকেট প্রসঙ্গে রেলমন্ত্রী মো. মুজিবুল হক বলেছেন, ‘একজন যাত্রীকে একসঙ্গে সর্বোচ্চ চারটি টিকেট দেওয়া হবে। কমলাপুর স্টেশনে ২৬টি কাউন্টার খোলা রাখা হবে।’ টিকেটের কালোবাজারি বন্ধ করতে প্রতিবারের মতো এবারও র‍্যাবসহ আইন শৃঙ্খলাবাহিনী বিশেষ নজরদারি করবে বলেও জানান রেলমন্ত্রী।

আজ বৃহস্পতিবার রেলভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন রেলমন্ত্রী মো. মুজিবুল হক।

রেলমন্ত্রী বলেন, ‘টিকেট কালোবাজারি প্রতিরোধে সকল বড় বড় স্টেশনে জিআরপি, বিজিবি, পুলিশ এবং র‌্যাবের সহযোগিতায় সার্বক্ষণিক প্রহরার ব্যবস্থা করা হবে। তাছাড়া জেলা প্রশাসকদের সহায়তায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হবে।’  

রেলমন্ত্রী জানান, আসন্ন ঈদ উল ফিতর উপলক্ষে যাত্রীদের যাতায়াতের সুবিধার জন্য সাত জোড়া (১৪টি) বিশেষ ট্রেন চলাচল করবে। ঈদের ৬ দিন আগে ও ৬ দিন পরে মোট বারো দিনে প্রতিদিন দুই লাখ ৭৫ হাজার টিকেট বিক্রি করবে।

রেলমন্ত্রী বলেন, ‘যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচলের সুবিধার্থে ঈদের ৩ দিন পূর্ব থেকে কনটেইনার ও জ্বালানি তেলবাহী ট্রেন ছাড়া কোন গুডস ট্রেন চলাচল করবে না। আগামী ১৫ থেকে ১৮ জুন মৈত্রী এক্সপ্রেস চলাচল করবে না।’

ঈদ উপলক্ষে আগামী ১ জুন থেকে ৬ জুন পর্যন্ত ১০ জুন থেকে ১৫ জুন মোট ছয়দিনের জন্য আগাম টিকেট বিক্রি করবে রেলওয়ে। ঈদের ছুটি শেষে কর্মক্ষেত্রে ফেরার জন্য ১০ জুন থেকে ১৫ জুন পর্যন্ত ১৯ জুন থেকে ২৪ জুন মোট ছয়দিনের জন্য টিকেট বিক্রি করবে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। প্রতিদিন সকাল ৮ থেকে টিকেট বিক্রি শুরু করবে স্টেশন কর্তৃপক্ষ।

সংবাদ সম্মেলনে রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোফাজ্জেল হোসেন, মহাপরিচালক মোঃ আমজাদ হোসেন সহ উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।