‘বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে হত্যা’, পুলিশের দাবি মাদক ব্যবসায়ী
সাতক্ষীরার কালীগঞ্জ উপজেলায় আবদুল আজিজ (৪৮) নামের এক ব্যক্তির গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। পুলিশ বলছে, নিহত ব্যক্তি মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। তাঁর কাছে পাওয়া গেছে, এক বস্তা ফেনসিডিল ও একটি পিস্তল।
তবে আজিজের লাশ শনাক্ত করে পরিবারের সদস্যরা বলছেন, কয়েকজন ব্যক্তি বুধবার রাতে আজিজকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গুলি করে হত্যা করেছে।
কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাসান হাফিজুর রহমান জানান, বৃহস্পতিবার সকালে তাঁর কাছে খবর আসে যে কালীগঞ্জের ভাড়াসিমলা ইউনিয়নের চৌবাড়িয়া গ্রামে সিদ্ধেশ্রী পুকুরের কাছে রাস্তার ধারে একটি লাশ পড়ে রয়েছে। তিনি একদল পুলিশ সদস্য নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাশটি উদ্ধার করেন। মরদেহে দুটি গুলির চিহ্ন রয়েছে।
ওসি আরো জানান, লাশের পাশে এক বস্তা ফেনসিডিল ছাড়াও একটি পিস্তল ও কয়েকটি গুলি পাওয়া গেছে। তবে কে বা কারা তাঁকে (আবদুল আজিজ) হত্যা করেছে তা তিনি জানাতে পারেননি। ময়নাতদন্তের জন্য লাশটি সাতক্ষীরা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয় বলে জানান ওসি।
এদিকে উদ্ধার হওয়া লাশটি শনাক্ত করে তাঁর ভাই সেলিম হোসেন ও জামাতা রেজাউল ইসলাম জানিয়েছেন, লাশটি সাতক্ষীরা সদর উপজেলার পরানদহা গ্রামের কেরামত আলীর ছেলে আবদুল আজিজের। তাঁরা জানান, বুধবার ইফতারের পর সাদা পোশাকধারী কয়েকজন ব্যক্তি বাড়ি থেকে আজিজকে তুলে নিয়ে যায়। রাতভর তাঁর আর কোনো খোঁজ মেলেনি। আজ সকালে বাড়ি থেকে ৩৫ কিলোমিটার দূরে কালীগঞ্জ উপজেলার চৌবাড়িয়ায় আজিজের গুলিবিদ্ধ লাশ পাওয়া যায়।
আজিজের গ্রাম পরানদহার বাসিন্দারা জানান, আবদুল আজিজ একজন পুরোনো পেশাদার মাদক চোরাচালানি। এর আগে তিনি হেরোইন পাচার করতেন। কয়েক বছর ধরে তিনি ফেনসিডিল পাচার করে আসছিলেন। বর্তমান সময়ে তিনি ইয়াবার বড় ধরনের ডিলার। বিএনপি সমর্থক আবদুল আজিজ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে সমঝোতা করে বাড়িতেই থাকতেন। তাঁর বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি মাদক মামলা রয়েছে।
তবে এ বিষয়ে কিছুই জানা নেই বলে জানিয়েছে সাতক্ষীরা সদর থানা পুলিশ।