দুই লক্ষাধিক মানুষের জন্য একজন চিকিৎসক!
পাবনার আটঘরিয়া উপজেলার দুই লক্ষাধিক মানুষের জন্যে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কাজ করছেন মাত্র একজন চিকিৎসক। এই একজন চিকিৎসকও বিশেষভাবে রাখা। আর তাই চিকিৎসার অভাবে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে এখানকার মানুষদের।
হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভার দুই লক্ষাধিক মানুষের জন্য ৩১ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালটি তৈরি করা হয়েছে। স্থানীয়রা চিকিৎসার জন্য হাসপাতালটিতে যায়। কিন্তু দীর্ঘ প্রায় চার থেকে পাঁচ ধরে হাসপাতালে ১১ জন চিকিৎসক পদে কাজ করছেন মাত্র একজন চিকিৎসক।
আটঘরিয়া উপজেলার পাটেশ্বর গ্রামের ভুক্তভোগী মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘এখানে এসে ডাক্তার পাওয়া যায় না, চিকিৎসা সেবা পাওয়া যায় না। শুধু এত্তবড় দালান বানিয়ে রাখছে।’
উপজেলার মতিগাছা গ্রামের রুবিয়া বেগম বলেন, ‘এখানে আসি ডাক্তারের কাছে। কিন্তু একজন ডাক্তার আছে। কোনো মহিলা ডাক্তার নাই। সকালে আইসা লাইনে ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়ায়ে থাকতে হয়। কিন্তু ডাক্তার পাওয়া যায় না।’
আটঘরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কর্মকর্তা ডা. মো. আবুল হোসেন বলেন, ‘এই হাসপাতালে ১১ জন চিকিৎসকের পদ রয়েছে। কিন্তু চার থেকে পাঁচ মাস ধরে মাত্র একজন চিকিৎসক দিয়ে দুই লক্ষাধিক মানুষের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তাও আবার সিভিল সার্জন অফিস থেকে ডা. মো. নুরুজ্জামানকে আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) হিসেবে প্রেষণে বিশেষভাবে এনে রাখা হয়েছে। তিনিও সামনের জুন-জুলাই মাসে বিশেষ কারণে চলে যাবেন। ডাক্তার সংকটে হাসপাতাল পরিচালনা করতে আমাকে হিমশিম খেতে হচ্ছে।’
এ বিষয়ে আটঘরিয়া পৌরসভার মেয়র ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. শহিদুল ইসলাম রতন বলেন, ‘আটঘরিয়ার দুই লক্ষাধিক জনগণ চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। আমি কয়েকবার ডিডি ও সিভিল সার্জনকে সমস্যার কথা জানিয়েছি। কিন্তু তারা কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি।’