‘আমরা কেউর বিরুদ্ধে বন্দুকযুদ্ধে যাচ্ছি না’
ক্রসফায়ার নয়, কাউন্টার অ্যাটাকে কিছু মাদক ব্যবসায়ী আহত বা নিহত হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল। তিনি বলেন, যত প্রভাবশালীই হোক মাদক ব্যবসায়ীদের কাউকেই ছাড় দেওয়া হচ্ছে না। তথ্যপ্রমাণের ভিত্তিতেই মাদকবিরোধী অভিযান পরিচালিত হচ্ছে।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে সচিবালয়ে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মাদক বিশেষ করে ইয়াবার বিস্তার দেশের উন্নয়নের পথে বড় ধরনের হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। আর এ কারণেই প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে দেশব্যাপী অভিযান চালানো হচ্ছে।
কিন্তু ক্রসফায়ারে মাদক ব্যবসায়ীদের এত বেশি মৃত্যুর ঘটনা কেন ঘটছে? জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, কিছু অভিযানে হামলা মোকাবিলায় প্রতিহামলা করতে হচ্ছে।
আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেন, ‘আমরা কেউর বিরুদ্ধে বন্দুকযুদ্ধে যাচ্ছি না। যারা ফায়ার ওপেন করে তাদের বিরুদ্ধেই আমাদের নিরাপত্তা বাহিনী অ্যাকশন নেয়। যারা না কি আগ্নেয়াস্ত্র প্রদর্শন করেন কিংবা গুলিবর্ষণ করার প্রচেষ্টা নেন তাঁরাই শুধু এই আহত কিংবা নিহত হচ্ছেন। পুলিশের ওপর অ্যাটাক করলে কাউন্টার অ্যাটাক করার আইন আমাদের দেশে রয়েছে আত্মরক্ষার্থে। তাদেরকে আমরা ধরে ফেলছি, তাদের মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে তাৎক্ষণিকভাবে বিচার হচ্ছে। এই সাত-আট দিনে দুই হাজারের অধিক কারাগারে অন্তরীণ আছে।’
প্রশ্ন ছিল, কেন শুধু ছোট ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে মাদক বিরোধী অভিযান চালানো হচ্ছে? জড়িত প্রভাবশালী বিশেষ করে মাদক ব্যবসায়ীদের তালিকায় নাম থাকার পরেও কক্সবাজার-৪ আসনে আওয়ামী লীগদলীয় সংসদ সদস্য আবদুল রহমান বদির বিরুদ্ধে কেন কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না?
পর্যাপ্ত তথ্যপ্রমাণ না থাকার কারণে অনেকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব হয় না বলে জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘আমরা কাউকে ছাড় দিচ্ছি না। সে বদি হোক কিংবা আর যেই হোক। তথ্য যেগুলো আসছে, তাঁর সঙ্গে প্রমাণাদি না জোগাড় করে আমরা নক করছি না। বদির বিরুদ্ধে কী তথ্য আপনার কাছে আছে আমাকে দিন। আমাদের কাছে যেই তথ্য আছে সেই তথ্য অনুযায়ী অপারেশন চলছে।’
এ সময় এক সাংবাদিক আবার প্রশ্ন করে বলেন, ‘বদির বিরুদ্ধে আপনাদের কাছে কোনো তথ্য নাই?’
জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘অবশ্যই আছে, সেগুলো আমাদের আরো প্রমাণের দরকার। প্রমাণ না থাকলে আমরা কেউর কাছে যাচ্ছি না। ম্যাসেজ ইজ ভেরি ক্লিয়ার। আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর স্পষ্ট নির্দেশনা যে এই ব্যাপারে জিরো টলারেন্স। সে সংসদ সদস্য হোক, সরকারি কর্মকর্তা হোক, মানে আমাদের নিরাপত্তা বাহিনীর কর্মকর্তা হোক, যেই হোক, ইভেন সাংবাদিক হোক। কাউকে আমরা ছাড় দেব না।’
মাদক ব্যবসায়ীদের সম্পর্কে সুনির্দিষ্ট তথ্যপ্রমাণ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে দিয়ে সহায়তার জন্য সবার প্রতি আহ্বান জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।