খুলনা সিটি নির্বাচন অস্বচ্ছ-ত্রুটিপূর্ণ : সুজন
খুলনা সিটি নির্বাচনকে অস্বচ্ছ এবং ত্রুটিপূর্ণ আখ্যা দিয়ে সুশাসনের জন্য নাগরিক-সুজন বলছে, সামগ্রিকভাবে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করতে ব্যর্থ হয়েছে নির্বাচন কমিশন। একইসঙ্গে ওই নির্বাচনের অনিয়মকে নতুন মডেল মন্তব্য করে স্থানীয় সরকার বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, জাতীয় নির্বাচনের ৬ মাস আগে এ ধরনের একটি নির্বাচন নতুন করে প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে।
আজ মঙ্গলবার সকালে ঢাকা রিপোর্টাস ইউনিটিতে সুজন আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ এবং পর্যবেক্ষণ উঠে আসে।
খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিজয়ী মেয়র, ওয়ার্ড কাউন্সিলর এবং সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলরদের শিক্ষাগত যোগ্যতা, পেশা, সম্পদের হিসাব এবং মামলা সংক্রান্ত বেশ কিছু তথ্য তুলে ধরা হয় সংবাদ সম্মেলনে।
পাশাপাশি নির্বাচনের গ্রহণযোগ্যতা প্রসঙ্গে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রচারিত সংবাদ ও নির্বাচন পর্যবেক্ষক সংস্থার পর্যবেক্ষণ তুলে ধরে সুজন বলছে- খুলনা সিটি নির্বাচনে দৃশ্যমান সহিংসতা এবং ব্যাপক অনিয়ম না ঘটলেও কোনো কোনো প্রার্থীর কর্মী-সর্মথকদের জন্য নির্বাচনের পরিবেশ ছিল ভীতিজনক।
রিটার্নিং অফিসারের তদারকির জন্য ঊর্ধ্বতন একজন কর্মকর্তাকে নির্বাচন কমিশন থেকে পাঠানোকেও নজিরবিহীন বলে মন্তব্য করে সুজন। আর নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ভূমিকাকে প্রশ্নবিদ্ধ মন্তব্য করে সুজন জানায়, সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করতে ব্যর্থ হয়েছে নির্বাচন কমিশন।
সবশেষ কয়েকটি সিটি নির্বাচনের সাথে তুলনা করে খুলনা সিটি নির্বাচনের অনিয়মকে নতুন মডেল হিসেবে আখ্যা দেন স্থানীয় সরকার বিশ্লেষকরা। এঁদের মধ্যে ছিলেন তোফায়েল আহমেদ ও আবুল মকসুদ। একইসঙ্গে খুলনার নির্বাচনের অনিয়ম এবং ত্রুটি-বিচ্যুতি চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান তাঁরা।