দুই একটি নির্বাচনী পর্যবেক্ষক সংস্থা বাদ হতে পারে
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ১২০টি পর্যবেক্ষক সংস্থা থেকে দুই একটি সংস্থাকে বাদ দেওয়া হতে পারে। আজ রোববার বেলা ১১টায় নির্বাচন কমিশনে (ইসি) পর্যবেক্ষক সংস্থার তালিকা চূড়ান্ত করতে শুনানি হয়।
শুনানি শেষে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) যাচাই-বাছাই কমিটির প্রধান অতিরিক্ত সচিব মো. মোখলেছুর রহমান এনটিভি অনলাইনকে এই তথ্য জানিয়েছেন।
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ১৯৯ নির্বাচনী পর্যবেক্ষক সংস্থা নিবন্ধনের জন্য নির্বাচন কমিশনে আবেদন করে। এর মধ্য থেকে যাচাই-বাছাই করে ১২০টি পর্যবেক্ষক সংস্থাকে গত ২ এপ্রিল প্রাথমিকভাবে মনোনয়ন দেয় কমিশন।
যাচাই-বাছাই কমিটি সূত্রে জানা যায়, রোববার সাতটি নির্বাচনী পর্যবেক্ষক সংস্থাকে শুনানির জন্য ডাকা হয়। সেগুলো হলো বরিশালের ডেভেলপমেন্ট ইনস্টিটিউট ফর স্যোশাল অ্যান্ড হিউম্যান অ্যাফেয়ার্স, বরিশালের আরোহী অ্যাসোসিয়েশন অব রুরাল অপরচুনিটি অ্যান্ড হিউম্যান ইনিশিয়েটিভ, পটুয়াখালীর কমিউনিটি লেভেলপমেন্ট অ্যাডভান্সমেন্ট সেন্টার (সিড্যাক), বরিশালের দাড়িয়াল ইউনিয়ন জনকল্যাণ সংস্থা, রাজধানীর পুরানা পল্টনের মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা ও বাস্তবায়ন সংস্থা, ফরিদপুরের এসো জাতি গড়ি এবং পটুয়াখালীর পিস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন (পিডিও)।
ফরিদপুরের সদর উপজেলার চর কমলাপুর গ্রামের এ এইচ এম ফোয়াদ ও ঢাকার ডেমরার ওয়াসা রোডের মো. আবুল হোসেন দুটি সংস্থা এবং বরিশালের দৈনিক দখিনের মুখের সাংবাদিক সাহরিয়ার কবির পাঁচটি সংস্থার বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ করেন।
মোখলেছুর রহমান বলেন, ‘১২০টি পর্যবেক্ষক সংস্থার ভেতরে সাতটি সংস্থার বিরুদ্ধে অভিযোগ পড়েছিল। ওই সাতটি সংস্থাকে চিঠি দেওয়া হয় কমিশনে শুনানির জন্য। সাথে সাথে অভিযোগকারীদেরকেও শুনানিতে হাজির হতে বলা হয়। তবে অভিযোগকারীরা কেউ শুনানিতে হাজির হয়নি।’
কী ধরনের অভিযোগ পড়েছিল ওই সাত সংস্থার বিরুদ্ধে- এমন প্রশ্নে মোখলেছুর রহমান বলেন, ‘কারো বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, তাদের কমিটি নেই। কারো আবার কমিটি থাকলেও নির্বাচনের মাধ্যমে তাদের কমিটি করা হয়নি। কেউ কেউ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত।’
এ সময় মোখলেছুর রহমান আরো বলেন, ‘অভিযোগকারীদের অভিযোগ আর সংস্থাগুলোর হাজির করা ডকুমেন্ট মিলিয়ে আমরা আজ শুনানি করেছি। যেসব অভিযোগ আমাদের কাছে এসেছে এর অধিকাংশেরই কোনো ভিত্তি পাওয়া যায়নি।’
অতিরিক্ত সচিব বলেন, ‘যেহেতু আমরা তাদের বিরুদ্ধে অধিকাংশ অভিযোগের সঠিক প্রমাণ পাইনি, সেহেতু সবাইকে বাদ দেওয়ার প্রশ্ন আসে না। তবে যাদের বিরুদ্ধে এসব অভিযোগের প্রমাণ পেয়েছি, তাদেরকে বাদ দেওয়া হবে। তবে সেই সংখ্যা এক থেকে দুটির বেশি হবে না। যে নির্বাচনী পর্যবেক্ষক সংস্থাকে আমরা বাদ দেব তাদেরকে দুই-এক দিনের মধ্যে আমরা জানিয়ে দেব।’