সুব্রত পালের দায়িত্ব পালনে বাধা নেই
হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের ভাইস-চেয়ারম্যান পদে নতুন নিয়োগের সিদ্ধান্ত স্থগিত করে হাইকোর্টের দেওয়া আদেশ আট সপ্তাহের জন্য স্থগিত করেছেন চেম্বার আদালত। এতে করে ওই পদে নিয়োগ প্রাপ্ত সুব্রত পালের দায়িত্ব পালনে আর কোনো আইনি বাধা থাকল না।
আজ রোববার এ সংক্রান্ত শুনানি শেষে সুপ্রিম কোর্ট আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী এ আদেশ দেন।
আদালতে ট্রাস্টের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। সঙ্গে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোতাহার হোসেন সাজু।
এ বিষয়ে মোতাহার হোসেন সাজু সাংবাদিকদের বলেন, সাবেক বিচারপতি গৌর গোপাল সাহা ট্রাস্টের ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। গত ৭ মার্চ অসুস্থতার কারণে চেয়ারম্যান বরাবর একটি আবেদন করেন তিনি। আবেদনে নিজে দায়িত্ব পালনে অক্ষমতার কথা জানিয়ে পরিতোষ কান্তি সাহাকে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান নিযুক্ত করার সুপারিশ করেন। কিন্তু সরকার গত ৮ এপ্রিল ট্রাস্ট পুনর্গঠনের সময় সুব্রত পালকে ভাইস চেয়ারম্যান নিযুক্ত করে। দায়িত্বে থাকার পরও তাঁকে না জানিয়ে নতুন ভাইস চেয়ারম্যান নিয়োগের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট দায়ের করেছিলেন বিচারপতি গৌর গোপাল সাহা।
গত ৮ এপ্রিল সুব্রত পালকে ট্রাস্টের ভাইস চেয়ারম্যান নিয়োগ দেওয়া হয়। পরে গত ৬ মে ওই নিয়োগের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ট্রাস্টের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান বিচারপতি গৌর গোপাল সাহা হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন। সেই রিটের পরিপ্রেক্ষিতে গত ৮ মে এই নিয়োগ তিন মাসের জন্য স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়।
এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি আশরাফুল কামালের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ ওই স্থগিতাদেশ দেন। একইসঙ্গে হাইকোর্ট তার অপর এর আদেশে সুব্রত পালের নিয়োগকে কেন বে-আইনি ও আইনগত কর্তৃত্ব বহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন।
কিন্তু হাইকোর্টের সেই আদেশের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্ট আপিল বিভাগের চেম্বার আদালতে আবেদন করা হলে হাইকোর্টের স্থগিতাদেশ ৮ সপ্তাহের জন্য স্থগিত রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়। এর ফলে সুব্রত পালের দায়িত্ব পালনে কোনো বাধা থাকল না বলে জানিয়েছেন মোতাহার হোসেন সাজু।
১৯৮৩ সালের আইন অনুযায়ী হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্ট প্রতিষ্ঠা করা হয়। আইনের ৫ ধারা অনুযায়ী ধর্মমন্ত্রী পদাধিকার বলে ট্রাস্টের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেন। তবে একই ধারা অনুযায়ী সরকার তিন বছরের জন্য ট্রাস্টি নিয়োগ করে। ট্রাস্টিদের মধ্য থেকে একজনকে সরকার ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ দেয়।