আশুলিয়ায় ১৩ ঘরবাড়ি ভাঙচুর করে জমি দখল
ঢাকার আশুলিয়ায় প্রকাশ্যে ১৩টি বসতবাড়ি ভাঙচুর করে প্রায় তিন একর জমি দখল করেছে সন্ত্রাসীরা। জমি দখলে বাধা দেওয়ায় সন্ত্রাসীরা নারী ও শিশুসহ ১০ জনকে পিটিয়ে আহত করে ও দুই নারীকে শ্লীলতাহানির চেষ্টা করে।
আজ রোববার সকালে আশুলিয়ার পাথালিয়া ইউনিয়নের মোকামটেক এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। সন্ত্রাসীরা জমির আশপাশে টেঁটা নিয়ে অবস্থান নেওয়ায় আশপাশের মানুষজন আতঙ্কে চলাফেরা করতে পারছে না।
জমি দখলের সময় আশুলিয়া থানা পুলিশকে জানানো হলে পুলিশ নীরব ভূমিকা পালন করে। উল্টো পুলিশ ভুক্তভোগী পরিবারগুলোকে হয়রানি করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। দখলকৃত তিন একর জমির মূল্য প্রায় কয়েক কোটি টাকা।
এলাকাবাসী জানায়, মোকামটেক এলাকায় ওই তিন একর জায়গায় দীর্ঘ দিন ধরে ১৩টি পরিবার বসবাস করে আসছিল। এই জমি নিয়ে পাথালিয়া ইউনিয়নের মিরেরটেক এলাকার আব্বাস আলী ও ফজলুল গংয়ের সঙ্গে একই এলাকার কান্দু মিয়ার বিরোধ চলছিল।
আজ সকালে কান্দু মিয়া কয়েকশ ভাড়াটে সন্ত্রাসী দিয়ে ওই জমির বসতবাড়ি ভাঙচুর করে জমি দখল করে নেয়। এ সময় সন্ত্রাসীরা প্রায় ২০ লাখ টাকার মালামাল লুটপাট করে।
জমি দখলে বাধা দেওয়ায় সন্ত্রাসীরা নারী ও শিশুসহ প্রায় ১০ জনকে পিটিয়ে আহত করে এবং দুই নারীর শ্লীলতাহানির চেষ্টা করে।
এদিকে জমির আশপাশে সন্ত্রাসীরা টেঁটা ও ধারালো অস্ত্র নিয়ে মহড়া দিচ্ছে। প্রকাশ্য দিবালকে জমি দখলের ঘটনায় পুলিশ কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ায় এলাকাবাসী পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে।
ভুক্তভোগী পরিবারগুলো জানায়, তারা এখন কোথায় থাকবে, গাছতলায় থাকা ছাড়া তাদের আর কোনো উপায় নেই। প্রকাশ্যে বসতি জমি দখল করে নিল সন্ত্রাসীরা, পুলিশ কোনো ব্যবস্থা নিল না।
এ বিষয়ে আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল আউয়াল কোনো কথা বলতে রাজি হননি। এ ঘটনায় থানায় একটি মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলেও তিনি জানান।