কুয়াকাটায় পড়েছিল ৪৫ ফুট লম্বা বিরল তিমি!
পটুয়াখালীর কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত থেকে ৪৫ ফুট লম্বা বিরল প্রজাতির একটি মৃত বেলিন তিমি উদ্ধার করা হয়েছে। আজ শনিবার ভোরে কুয়াকাটার ঝাউবন এলাকার সৈকতে তিমিটি পর্যটকদের নজরে আসে।
মুহূর্তেই খবরটি সারা এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে। এরপর অন্য পর্যটকরা ও স্থানীয় লোকজন তিমি দেখতে সেখানে ভিড় জমায়।
ধারণা করা হচ্ছে, অন্তত ১৫ দিন আগে গভীর সমুদ্রে তিমিটি মারা যায়। জানা যায়, বিশ্বের অন্যান্য তিমির মতো বেলিন তিমি মানুষ খেকো বা হিংস্র নয়। এদের কোনো দাঁতই নেই !
সামুদ্রিক জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণকারী গবেষণা প্রতিষ্ঠান ওয়াইল্ড লাইফ কনজার্ভেশন সোসাইটির মেরিন এডুকেশন অ্যান্ড ট্রেনিং কো-অর্ডিনেটর ফারহানা আখতার তিমিটির প্রসঙ্গে বলেন, ‘এটি ব্রিডিস তিমি বা বেলিন তিমি। এদের দাঁত থাকে না। এর বদলে ছাঁকনির মতো অংশ থাকে। যার মাধ্যমে এরা পানি থেকে ছোট ছোট মাছ ও চিংড়ি জাতীয় প্রাণী খেয়ে বেঁচে থাকে। এরা সাধারণত ৪০ থেকে ৫০ ফুটের মতো লম্বা হয়ে থাকে। কালো থেকে ধূসর বর্ণের এই তিমির পেটের দিকটা অনেকটা হালকা ক্রিম রঙের। এদের মাথাটি খাটো ও চওড়া এবং মাথায় তিনটি সমান্তরাল খাঁজ থাকে, যা দিয়ে সহজেই এদের আলাদা করা যায়।’
বেলিন তিমি সাধারণত ১২ বছর বয়স থেকে বাচ্চা জন্ম দিতে পারে। বাংলাদেশের জল সীমানায় সোয়াচ-অব-নো গ্রাউন্ড এলাকায় এদের সচরাচর দেখা যায়। এখনো এ প্রজাতির তিমিদের নিয়ে অনেক গবেষণা চলছে।
এদিকে মৃত এই তিমির কঙ্কাল পর্যটকদের জন্য সংরক্ষণের উদ্যোগ নিতে দাবি জানিয়েছেন অনেকেই।
কলাপাড়া উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা কামরুল ইসলাম বলেন, ‘এটি এখন আর আমাদের দায়দায়িত্বের মধ্যে নেই। কুয়াকাটা বিচ ম্যানেজমেন্ট কমিটি প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে।’
বিচ ম্যানেজমেন্ট কমিটির সদস্য সচিব ও কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তানভীর রহমান বলেন, ‘আমরা একটি মৃত তিমি উদ্ধারের খবর পেয়েছি। এটিকে পর্যটকদের জন্য কোনোভাবে সংরক্ষণ করা যায় কি না সেটি দেখছি।’