বিশেষ ব্যাচের পুলিশ কর্মকর্তাদের এনে ভোট ডাকাতি, অভিযোগ মঞ্জুর
খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ফলে সরকার এবং নির্বাচন কমিশনের নৈতিক পরাজয় হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন নির্বাচনে বিএনপির মেয়র পদপ্রার্থী নজরুল ইসলাম মঞ্জু। তিনি বলেন, এই নির্বাচনে ভোট ডাকাতির নতুন সংস্করণ চালু হয়েছে, জনগণের বিজয় ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছে ।
আজ বুধবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে খুলনা বিএনপির কার্যালয়ে আয়োজিত নির্বাচন পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন মঞ্জু।
একটি বিশেষ ব্যাচের পুলিশ কর্মকর্তাদের খুলনায় এনে ভোট ডাকাতি করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন নজরুল ইসলাম মঞ্জু। তিনি ১০২টি ভোট কেন্দ্রের ভোট পুনরায় গণনা এবং ৪৫টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণের বিষয়ে তদন্তের দাবি জানান।
এক প্রশ্নের জবাবে মঞ্জু বলেন, এই নির্বাচনের ফলাফলকে প্রত্যাখ্যান করেছেন তিনি।
অন্যদিকে আরেক সংবাদ সম্মেলনে খুলনা সিটি করপোরেশনের নবনির্বাচিত মেয়র তালুকদার আবদুল খালেক বলেন, ‘নির্বাচন শুরুর পর থেকেই বিএনপির মেয়র পদপ্রার্থী নজরুল ইসলাম মঞ্জু নির্বাচন কমিশন এবং এ সরকারকে বিতর্কিত করার চেষ্টায় ছিলেন, যা এখনো অব্যাহত রয়েছে।’
খুলনা প্রেসক্লাবে আয়োজিত এই সংবাদ সম্মেলন থেকে নজরুল ইসলাম মঞ্জুসহ সবাইকে সঙ্গে নিয়ে খুলনার উন্নয়নে কাজ করবেন বলে জানান নতুন মেয়র। নজরুল ইসলাম মঞ্জুকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, ‘জয় লাভ করলে সব ঠিক আছে আর পরাজিত হলে ঠিক নাই এই ধরনের মনোভাব পরিহার করতে হবে।’
গতকাল মঙ্গলবার খুলনা সিটি করপোরেশনে নির্বাচন হয়। এতে আওয়ামী লীগের মেয়র পদপ্রার্থী তালুকদার আবদুল খালেক নৌকা প্রতীক নিয়ে এক লাখ ৭৪ হাজার ৮৫১ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন বিএনপির নজরুল ইসলাম মঞ্জু। ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে তিনি পান এক লাখ ৯ হাজার ২৫১ ভোট। এ ছাড়া ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মো. মুজ্জাম্মিল হক হাতপাখা প্রতীক নিয়ে পান ১৪ হাজার ৩৬৩ ভোট, জাতীয় পার্টির এস এম মুশফিকার রহমান লাঙল প্রতীক নিয়ে পান এক হাজার ৭২ ভোট ও সিপিবির মিজানুর রহমান বাবু কাস্তে প্রতীক নিয়ে পান ৫৩৪ ভোট।