গণতন্ত্রের জন্য এটি অশনি সংকেত : মঞ্জু
খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে বিএনপির প্রার্থী নজরুল ইসলাম মঞ্জু বলেছেন, ‘একটি অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচন খুলনাবাসী চেয়েছিল। আমরা চেয়েছিলাম। সেটি হয়নি। গণতন্ত্রের জন্য এটি অশনি সংকেত।’
আজ মঙ্গলবার খুলনা সিটি নির্বাচনের ফলাফল আসার পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় এসব কথা বলেন নজরুল ইসলাম মঞ্জু। নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী তালুকদার আবদুল খালেকের কাছে পরাজিত হয়েছেন তিনি।
২৮৬টি কেন্দ্র থেকে পাওয়া ফলাফলে দেখা গেছে, নৌকা প্রতীকের তালুকদার আবদুল খালেক পেয়েছেন এক লাখ ৭৬ হাজার ৯০২ ভোট। অন্যদিকে ধানের শীষ প্রতীকের নজরুল ইসলাম মঞ্জু পেয়েছেন এক লাখ আট হাজার ৯৫৬ ভোট। তিনটি কেন্দ্রের ভোট স্থগিত করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
নজরুল ইসলাম মঞ্জু বলেন, ‘আমার বক্তব্য কিন্তু খুব পরিষ্কার। একটি অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচন খুলনাবাসী চেয়েছিল। আমরা চেয়েছিলাম। সেটি হয়নি। গণতন্ত্রের জন্য এটি অশনি সংকেত। ভোটাররা ভোট দিতে পারবেন না, তাঁদের ভোট দিবে সন্ত্রাসীরা এবং সেই ফলাফলের অপেক্ষায় আমাদের থাকতে হবে এর চেয়ে দুর্ভাগ্যজনক আর কিছু হতে পারে না।’
ভোটগ্রহণ চলার সময়ই ‘ভোট ডাকাতি’র অভিযোগ করেন মঞ্জু। তখন তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘ভোট ডাকাতির যে চিত্র খুলনাবাসী দেখেছে, আমি নিজেও দেখেছি এবং আপনারাও দেখেছেন। সেই নির্বাচন অগ্রহণযোগ্য। একটি অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচনের প্রত্যাশাকে স্বপ্নকে চুরমার করে দিয়ে, বর্তমান সরকার এবং নির্বাচন কমিশন একটি কালো অধ্যায়ের সূচনা করল। সেটি হচ্ছে খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচন-২০১৮ একটি কালিমালিপ্ত নির্বাচন।’
২০১৩ সালের অনুষ্ঠিত খুলনা সিটি নির্বাচনে জয়ী হয়েছিলেন বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী মো. মনিরুজ্জামান। দলীয় মনোনয়নের ভিত্তিতে স্থানীয় সরকার চালু হওয়ার পর প্রথমবারের মত খুলনায় সিটি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হল। ‘ধানের শীষ’ প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করেন মঞ্জু।