বিকৃত যৌনাচার, যুবলীগ নেতাকে স্থায়ী বহিষ্কারের সুপারিশ
এক কিশোরর সঙ্গে বিকৃত যৌনাচারের অভিযোগে রাজশাহী মহানগর যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তৌহিদুল হক সুমনকে স্থায়ীভাবে দল থেকে বহিষ্কারের সুপারিশ করা হয়েছে। আজ সোমবার দুপুরে মহানগর যুবলীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সভায় উপস্থিত ৯৮ সদস্যের সবাই সুমনকে সংগঠন থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কারের পক্ষে অবস্থান নেন।
নগরীর কুমারপাড়ায় আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে সভা শেষে মহানগর যুবলীগের সভাপতি রমজান আলী জানান, যুবলীগ নেতা সুমনের বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় তাঁকে দল থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সভার সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের জন্য এখন কেন্দ্রীয় যুবলীগে চিঠি পাঠানো হবে।
দলীয় সূত্র মতে, সুমনের বিরুদ্ধে বিকৃত যৌনচারের অভিযোগ ওঠার পর আজ রাজশাহী মহানগর যুবলীগের দ্বিতীয়বারের মতো কার্যনির্বাহী কমিটির জরুরি সভা ডাকা হয়। ওই সভায় সভাপতিত্ব করেন মহানগর যুবলীগের সভাপতি রমজান আলী। সভায় উপস্থিত সবার সিদ্ধান্তে সুমনকে দল থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত হয়।
মহানগর যুবলীগের দপ্তর সম্পাদক মাহামুদ হাসান খান চৌধুরী ইতুর পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এর আগে গত ২০ এপ্রিল মহানগর যুবলীগের এক সভায় সুমনকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করে তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ১৫ দিনের সময় বেঁধে দিয়ে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছিল।
দলীয় সূত্রে জানা যায়, সম্প্রতি এক কিশোরকে প্রথম দফায় বাড়িতে ডেকে নিয়ে গিয়ে নির্যাতনের পর তাকে বিকৃত যৌনচারে বাধ্য করেন যুবলীগ নেতা সুমন। এরপর আরো কয়েক দফা একই ঘটনা ঘটানো হয় ওই কিশোরের সঙ্গে। এর মধ্যে বিকৃত এই যৌনাচারের একটি ভিডিও ফুটেজ গত ১৫ এপ্রিল ফাঁস হয়ে যায়। ভিডিওটি ভাইরাল হলে নগরীতে তোলপাড় শুরু হয়। ভিডিওটি ধারণ করে সোহাগ নামের এক যুবক। ঘটনা জানাজানির পর থেকে নিখোঁজ রয়েছে সোহাগ। এমন দাবি করে তাঁর মা আকলিমা বেগম সম্প্রতি নগরীর চন্দ্রিমা থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। এ ছাড়া ঘটনার শিকার ওই কিশোর যুবলীগ নেতা সুমনের রোষানল থেকে বাঁচতে আত্মগোপন করেছেন।
এদিকে সুমনের বিকৃত যৌনচারের ভিডিও নিয়ে গত শুক্রবার জুমার নামাজে মসজিদের ইমামের মন্তব্যের জের ধরে নগরীর শিরোইল কলোনি মসজিদে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পরের দিন এলাকার নারীরা সুমনের বিরুদ্ধে ঝাড়ু মিছিল করে।