মুন্সীগঞ্জে জমির মাটি কেটে ইটভাটায় বিক্রির অভিযোগ
মুন্সীগঞ্জের মিরকাদিম পৌরসভার ইমামচর এলাকার ইছামতি নদীর পারে সরকারি ও ব্যক্তিমালিকানাধীন ফসলি জমির মাটি কেটে নেওয়া হচ্ছে বলে জানা গেছে। আর সেই মাটি ইটভাটায় বিক্রি করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, এই কাজের সঙ্গে জড়িত মেয়রের লোকজন। তবে মেয়র এ ধরনের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বেশ কিছু শ্রমিক প্রতিদিন রাত ৪টার দিকে সুধারচর এলাকার সরকারি ও ব্যক্তিমালিকানাধীন ফসলি জমি কাটা শুরু করে। সকাল ৮টার দিকে তাঁরা ট্রলারে ভরে মাটি নিয়ে চলে যায়।
প্রতি ট্রলার মাটি ইটভাটার মালিকের কাছে ১২ থেকে ১৫ হাজার টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে। প্রতিদিন লক্ষাধিক টাকার মাটি বিক্রি করা হচ্ছে। আর এক সপ্তাহ ধরে এই কাজ করা হচ্ছে।
স্থানীয় কয়েকজন নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, মেয়রের লোক হিসেবে পরিচিত চুন্নু, মনির, সুমন, সোহাগ, শাহজাহান, পাভেল, কামাল মৃধা, আল আমিন, শামীম এই মাটি বিক্রির কাজের সঙ্গে জড়িত। মাটি কাটার সঙ্গে জড়িত স্থানীয় সন্ত্রাসীদের ভয়ে কেউ বাধাও দিতে পারছে না। মাটি লুটের ফলে নদীর ধারের বৈদ্যুতিক পিলারগুলোও হুমকি মুখে পড়েছে।
স্থানীয় একটি ইটভাটার শ্রমিক সর্দার কাইয়ুম জানান, এই জমি সরকারি না ব্যক্তি মালিকানাধীন তা জানা নেই। এই মাটি মেয়রের লোকজনের কাছ থেকে কেনা হচ্ছে বলে জানান তিনি।
মুন্সীগঞ্জ সদর সহকারী কমিশনার (ভূমি) মুনতাসির জাহান জানান, বেলা ১১টার দিকে গিয়ে কাউকে পাওয়া যায়নি। তবে মাটি কেটে নিয়ে যাওয়ার প্রমাণ মিলেছে। ভয়ে কেউ মুখ খুলতে চায় না। স্থানীয়রা অভিযোগ করেছে, মাটি লুটেরারা মেয়রের লোক। তিনি আরো জানান, যারা সরকারি স্বার্থে ব্যাঘাত ঘটাবে তাদের ছাড় দেওয়া হবে না।
এসব অভিযোগ অস্বীকার করে মিরকাদিম পৌরসভার মেয়র শহিদুল ইসলাম শাহীন জানান, ‘আমি জীবনেও এগুলোর সঙ্গে জড়িত হইনি। এটা আমার জন্য লজ্জা ও কষ্টের।’
মেয়র আরো বলেন, ‘রাজনৈতিকভাবে আমাকে হেয় করার জন্য প্রতিপক্ষরা এ কাজ করছে। আমি নিজে ঘটনাস্থলে যাব এবং কেউ মাটি কাটলে ব্যবস্থা নেব।’