ফারমার্স ব্যাংকের চিশতীর ছেলের জামিন নাকচ
১৬০ কোটি টাকা আত্মসাতের মামলায় ফারমার্স ব্যাংকের অডিট কমিটির সাবেক চেয়ারম্যান মাহবুবুল হক চিশতীর ছেলে রাশেদুল হক চিশতীর জামিন নাকচ করে দিয়েছেন আদালত।
আজ রোববার ঢাকার জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ রায়হানুল ইসলাম এ আদেশ দেন।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আদালত পরিদর্শক আশিকুর রহমান সাংবাদিকদের জানান, আজ আদালতে আসামি রাশেদুল হক চিশতীর জামিনের শুনানির জন্য দিন ধার্য ছিল। আসামির পক্ষে তাঁর আইনজীবী মো. ফারুক জামিনের শুনানি করেন। শুনানি শেষে বিচারক তাঁর জামিনের আবেদন নাকচ করে দেন। এর ফলে আসামির কারাগারেই থাকতে হচ্ছে।
এর আগে গত ১০ এপ্রিল সিএমএম আদালত আসামি রাশেদুল হক চিশতীকে রিমান্ডে পাঠান। এরপর ১৮ এপ্রিল তাঁকে কারাগারে পাঠানো হয়। এদিকে এ মামলায় তাঁর বাবা মাহবুবুল হক চিশতীও কারাগারে রয়েছেন।
গত ১০ এপ্রিল দুপুরে রাজধানীর সেগুনবাগিচা এলাকা থেকে রাশেদুল হক চিশতীসহ চারজনকে আটক করে দুদক। পরে রাজধানীর গুলশান থানায় ছয়জনকে আসামি করে একটি মামলা করে দুদক।
মামলায় মাহবুবুল হক চিশতীর স্ত্রী রুজী চিশতী এবং ফারমার্স ব্যাংকের গুলশান করপোরেট শাখার প্রাক্তন ব্যবস্থাপক ও বর্তমান সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট দেলোয়ার হোসেনকেও আসামি করা হয়।
নথি থেকে জানা যায়, ফারমার্স ব্যাংক লিমিটেডের কর্মকর্তাদের সহযোগিতায় ব্যাংকের নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে মাহবুবুল হক চিশতী গুলশান শাখায় সঞ্চয়ী হিসাব খুলে বিপুল অর্থ নগদে ও পে-অর্ডারের মাধ্যমে জমা ও উত্তোলন করেছেন। তিনি বিভিন্ন সময়ে তাঁর স্ত্রী, ছেলেমেয়ে ও তাঁদের মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানের নামে বিভিন্ন শাখার মোট ২৫টি হিসাবে বেশিরভাগ অর্থ নগদ ও পে-অর্ডারের মাধ্যমে মোট ১৫৯ কোটি ৯৫ লাখ ৪৯ হাজার ৬৪২ টাকার সন্দেহজনক লেনদেন করেছেন। হিসাবগুলোতে গ্রাহকদের হিসাব থেকে পাঠানো অর্থ স্থানান্তর, হস্তান্তর ও লেয়ারিংয়ের মাধ্যমে গ্রহণ করে এবং নিজেদের নামে ক্রয়কৃত ব্যাংকের শেয়ারের মূল্য পরিশোধের মাধ্যমে সন্দেহজনক লেনদেন করে মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনের ৪ ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন বলে দুদকের অনুসন্ধানে প্রমাণিত হয়েছে।