রোজার আগেই খালেদা জিয়ার মুক্তি দাবি বিএফইউজের
রোজার আগেই বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি ও বন্ধ করে দেওয়া গণমাধ্যমগুলো খুলে দেওয়ার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) একাংশ।
আজ শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে অবস্থিত ফেডারেশনের নিজস্ব কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত নির্বাহী কমিটির সভায় গৃহীত প্রস্তাবে এ দাবি জানানো হয়।
সভায় তারা বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়ার দাবিও জানান। এছাড়াও ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনসহ সব ‘কালাকানুন’ বাতিলের জোর দাবি জানায় সাংবাদিকদের এই শীর্ষ সংগঠন।
সভায় সভাপতিত্ব করেন বিএফইউজের সভাপতি রুহুল আমিন গাজী। সভা সঞ্চালনা করেন মহাসচিব এম আবদুল্লাহ।
গণতন্ত্র ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতা পুনরুদ্ধারে সাংবাদিক সমাজকে ঐক্যবদ্ধ করে রমজানের পর বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তোলার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন সভায় উপস্থিত সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ।
সভায় গৃহীত প্রস্তাবে বলা হয়, ‘গুরুতর অসুস্থ খালেদা জিয়ার চিকিৎসা না দিয়ে সরকার যে নিষ্ঠুর ও অমানবিক আচরণ করছে তা মৌলিক ও মানবিক অধিকারের পরিপন্থী। খালেদা জিয়া এ দেশে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার এবং গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে যে ঐতিহাসিক ভূমিকা পালন করেছেন তা দেশের সাংবাদিক সমাজ কখনও ভুলবে না। কারাবন্দি সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী উন্নত চিকিৎসা না পেলে বড় ধরনের বিপদ ঘটতে পারে বলে ইতিমধ্যে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন। তারপরও সরকারের নির্বিকার ভূমিকার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।’
অপর এক প্রস্তাবে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের নামে স্বাধীন ও অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা এবং মত প্রকাশের স্বাধীনতা রুদ্ধ করার ‘সরকারি অপচেষ্টা’য় উদ্বেগ ও ক্ষোভ প্রকাশ করে বলা হয়, ‘কুখ্যাত ৫৭ ধারার বিষয়গুলো নতুনরূপে বহাল রাখা এবং ভয়ানক নিবর্তনমূলক ৩২ ধারা সংযোজনের মাধ্যমে প্রমাণ হয়েছে সংবাদ মাধ্যমের স্বাধীনতা হরণে নতুন নতুন কালাকানুন করা বর্তমান সরকারের মজ্জাগত অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। গণতন্ত্র, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা, মানবাধিকার ও মৌলিক অধিকার হরণকারী সরকার ক্ষমতা চিরস্থায়ী করার জন্য গণমাধ্যমে পায়ে শেকল পরাতে মরিয়া।’
সভায় অবিলম্বে বন্ধ সব মিডিয়া খুলে দেওয়া এবং মাহমুদুর রহমান, শওকত মাহমুদ, মাহফুজ আনামসহ সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে দায়ের করা হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানানো হয়। তা না হলে সাংবাদিক সমাজকে ঐক্যবদ্ধ করে সারাদেশে ধারাবাহিক কর্মসূচির মাধ্যমে দাবি পূরণে বাধ্য করা হবে বলেও তারা জানান।
সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন বিএফইউজের সহ-সভাপতি নুরুল আমিন রোকন, মোদাব্বের হোসেন ও শামসুদ্দিন হারুন, সহকারী মহাসচিব আহমদ মতিউর রহমান, কোষাধ্যক্ষ ওবায়দুর রহমান শাহীন, সাংগঠনিক সম্পাদক মেহেদী মাসুদ, দপ্তর সম্পাদক আবু ইউসুফ, প্রচার সম্পাদক আসাদুজ্জমান আসাদ, নির্বাহী সদস্য মুনশী আবদুল মান্নান, সাদ বিন রাবি, সৈয়দ ফজলে রাব্বি ডলার, শাহ আলম শফি, সাদিকুল ইসলাম স্বপন, রাজশাহী সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি সরদার আবদুর রহমান, সাংবাদিক ইউনিয়ন বগুড়ার সভাপতি মীর্জা সেলিম রেজা, সাংবাদিক ইউনিয়ন দিনাজপুরের সাধারণ সম্পাদক মাহফিজুল ইসলাম রিপন এবং সাংবাদিক ইউনিয়ন ময়মনসিংহের সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম প্রমুখ।