শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সন্ত্রাস করলে ছাড় দেওয়া হবে না : প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কেউ সন্ত্রাস করলে সে যে দলের হোক, তাকে ছাড় দেওয়া হবে না। তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
আজ শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ছাত্রলীগের ২৯তম সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘যারা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসির বাসভবনে হামলা করেছে তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত করা হচ্ছে। অনেককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বাকিদেরও গ্রেপ্তার করা হবে। যারাই জড়িত তাদের সবাইকে আইনের আওতায় আনা হবে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘মাঝে মাঝে দেখি শিক্ষকরাও একে অপরের সঙ্গে সংঘাতে জড়ান। কিন্তু আপনারা এসব করলে ছাত্ররা কার কাছ থেকে শিখবে? মনে রাখতে হবে কেউ কোনো কিছু নিয়ে বেশি বাড়াবাড়ি করলে সেটি বরদাস্ত করা হবে না। যে এসব কিছুর সাথে জড়িত থাকবে তাদের কঠোর হাতে দমন করা হবে।’ এ সময় তিনি বলেন, ‘আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশ করেছি জনগণের জীবন মান উন্নয়ন করতে। কিন্তু তার মানে এই নয় সেটিকে খারাপ কাজে ব্যবহার করবেন তা হবে না। এসব কঠোর হাতে দমন করা হবে।’
সড়ক দুর্ঘটনা নিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘ছাত্র সমাজকে আমি আরেকটি বিষয় বলব, রাস্তায় কিভাবে পার হবে সে বিষয়ে জনগণকে সচেতন করতে হবে। কেউ রাস্তায় গাড়ীর সামনে দিয়ে হাত উঁচিয়ে দৌড় দিবেন, বাসে চলার সময় হাত বাহিরে ঝুলিয়ে রেখে দুর্ঘটনার শিকার হয়ে ড্রাইভারকে মারধর করবেন সেটি তো হবে না।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আওয়ামী লীগ আসলে দেশে উন্নয়ন হয়। আর বিএনপি ক্ষমতায় আসলে দেশের টাকা বিদেশে পাচার করে, সম্পদ লুট করে, যুদ্ধাপরাধীদের হাতে দেশের পতাকা তুলে ধরে। তাই এদের বিষয়ে জনগণকে সচেতন করতে হবে। যাতে স্বাধীনতা বিরোধী যুদ্ধাপরাধীরা ক্ষমতায় আসতে না পারে।’